খাবার খাওয়ার পর অনেকেই বলেন যে পেট ফেঁপে যাচ্ছে। গরমের দিনে এই সমস্যা বেশি হয়। অল্পেই পেট ফুলে যায়, অস্বতি, বদহজম লেগে থাকে। হঠাৎ করে কোন খাবার থেকে সমস্যা হয় তা বোঝা মুশকিল। দীর্ঘক্ষণ বাড়ির বাইরে থাকলে, রোদ লাগলে, জল পরিমাণে কম খাওয়া হলে সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি। কিছু খাওয়ার পরই পেট ফাঁপতে শুরু করলে সেই সমস্যাকে ব্লোটিং বলা হয়। পেটে ব্যথা, ফোলাভাব, অস্বস্তি এর প্রধান লক্ষণ। খুব দ্রুত খাবার গিলে ফেললে, খাবার ঠিকভাবে চিবিয়ে না খেলে এই সমস্যা বেশি হয়। কারণ তখন খাবারের সঙ্গে অনেকটা পরিমাণ বাতাসও খাওয়া হয়ে যায়। আবার বেশি খাবার খেলেও এই সমস্যা হতে পারে। তখন কোষ্ঠকাঠিন্য, লিভারের সমস্যা আসে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় অনেক সময়ই পেট ফেঁপে যায়, যদিও এই কারণ খুব স্বাভাবিক।
ডাল, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, অতিরিক্ত পরিমাণ নুন রয়েছে এরকম খাবার বেশি খেলেও সেখান থেকে গ্যাস হতে পারে। আবার অনেকের দুধে সমস্যা থাকে, দুধ খেলেও পেট ফুলে যায়। আর তাই পুষ্টিবিদরা দিচ্ছেন বিশেষ কিছু পরামর্শ। নিয়মিত ভাবে এই সব খাবার খেলে হজম ভাল হবে। সেই সভ্গে থাকবে না গ্যাস, পেট ফাঁপা, বদহজমের মত সমস্যাও। আর এই বমি বমি ভাব এড়াতে খুব ভাল কাজ করে আদা-পুদিনার চা। আদার মধ্যে থাকে কার্মিনিটিভ নামের একরকম যৌগ, যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। ডাল, ছোলা, রাজমা, সোয়াবিন এসব বেশি খেলেই সমস্যা হয়। তাই এমন সমস্যায় আদা খুব ভাল কাজ করে।
খাবার খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খেলে হজম ভাল হয়। গ্যাস আর ফোলাভাব কমাতে এই মৌরি খুবই সাহায্য করে। রোজ সকালে মৌরি ভেজানো জল খেলে পেটের কোনও সমস্যা থাকে না। যদি গ্যাস হয়ে যায় তাহলে মৌরি, আদাএকসঙ্গে থেঁতো করে নিন। এবার এর সঙ্গে সামান্য রক সল্ট আর এক চিমটে হিং মিশিয়ে চা বানিয়ে নিন। এই চা একদম গরম গরম খেতে হবে। এছাড়াও রোজ সকালে মৌরি, জিরে, ধনে ভেজানো জল খেতে হবে। এই অভ্যাসেও কিন্তু পেট ফাঁপার মত সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
জোয়ান আর পুদিনা পাতা জলে ফেলে খুব ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে নিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস খান। এতেও অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
এছাড়াও ডাল, রাজমা এসব বানানোর সময় পেঁয়াজ-রসুন ব্যবহার না করে আদা, হিং, ধনে, মৌরি, জিরে এসব মশলা দিয়ে রান্না করুন। এতে হজমের সমস্যাও দূর হয় সেই সঙ্গে শরীর থেকে টক্সিনও বেরিয়ে যায়। রোজ একবাটি করে পাকা পেঁপে, গাজর খান। এইসব খাবারের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর ফাইবারও থাকে প্রচুর। ফলে শরীরও ঠিক থাকে।