
ওজন যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে যায় তাহলে ঝামেলার একশেষ। বয়স এবং উচ্চতার নিরিখে ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলেই দেখা দেয় একাধিক শারীরিক অসুস্থতা। আর তাই প্রথমেই নজর দিতে হবে রোজকারের খাওয়াদাওয়াতে। সেই সঙ্গে নিয়ম মেনে শরীরচর্চাও করতে হবে। তবেই শরীর থাকবে ঝরঝরে।

ওজন কমাতে ভীষণ সাহায্য করে টকদই। আর তাই রোজের ডায়েটে একবাটি টকদই রাখতে পারলে তো কথাই নেই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দই খেয়ে ওজন ঝরানো সম্ভব। আর তাই সূর্যাস্তের আগে বা পরে যে কোনও সময়ে দই খেতে পারেন। দই এর মধ্যে বেদানা, শসা মিশিয়ে খেলে আরও ভাল ফল পাওয়া যায়।

রান্নাঘরে থাকা আপেলও ওজন কমাতে খুবই সাহায্য করে। আপেলের মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় ফাইবার। সেই সঙ্গে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড। ব্রেকফাস্টে একটা করে আপেল রোজ খান। ওটস, কর্নফ্লেক্সের সঙ্গেও খেতে পারেন আপেল।

যে কোনও টক ফল ওজন কমাতে খুবই সাহায্য করে। আর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে লেবু। একটা করে মুসাম্বি লেবু বা কমলালেবু যদি রোজ খান তাহলে অনেক উপকার পাবেন। লেবুর মধ্যে থাকে ফাইবার, এছাড়াও থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে মুসাম্বি বা কমলার রস করে খেলে তার মধ্যে কিন্তু চিনি মেশাবেন না।

চকোলেট খেলে ওজন বাড়ে একথা ঠিক। এছাড়াও চকোলেট খেলে শরীরে একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। তবে দিনে যদি দু টুকরো ডার্ক টকোলেট খাওয়া যায় তাহলে ওজন যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকে

ডায়েটে রোজ নানা রকম সবজি রাখুন। বাঁধাকপি, ফুলকপি, লেটুস পাতা, গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি সব রকম সবজি প্রথমে গরম জলে নুন ফেলে ভাপিয়ে নিন। এবার জল ফেলে সামান্য মাখন আর গোলমরিচ ছড়িয়ে খান। এতেও অনেক কাজ হবে।

বিকেলে ফুচকা, চুরমুর এসব না খেয়ে একমুঠো বাদাম খান। কাঠবাদাম, চীনাবাদাম, আখরোট এসব প্রচুর পরিমাণে পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে ঘন ঘন খিদে পায় না। কম খাবার খেলে ওজন এমনিই কমবে। বাদাম অন্য খাবারের থেকে লোভ সামলে থাকতেও সাহায্য করে।