Bird Flu Outbreak In India: ‘বার্ড ফ্লু মুরগি’র মাংস খেলে কি আপনারও হতে পারে বার্ড ফ্লু ?
Bird Flu Outbreak In India: বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়লে সেই সময় কি পোল্ট্রি পণ্য খাওয়া নিরাপদ? মুরগির মাংস খেলে কি সত্যিই বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

গোটা দেশ জুড়ে আবার ছড়িয়ে পড়েছে বার্ড ফ্লুয়ের আতঙ্ক। প্রশাসনের তরফ থেকেও জারি করা হয়েছে H5N1 অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সতর্কতা। বার্ড ফ্লু সত্যি কতটা ছড়িয়েছে তা জানতেও বিভিন্ন রাজ্য থেকে ৭০০০ পোল্ট্রির মুরগি এবং ২০০০ মুরগির ডিমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা অন্ধ্র প্রদেশে হঠাৎ করেই মুরগির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, তদন্তের পরে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বার্ড ফ্লুয়ের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে একটি প্রশ্নই বারবার উঠে আসছে। বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়লে সেই সময় কি পোল্ট্রি পণ্য খাওয়া নিরাপদ? মুরগির মাংস খেলে কি সত্যিই বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মুরগির শরীর থেকে মানুষের মধ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রমি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, যদিও তা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন মুরগির মাংস, ডিম সবই খেতে পারে তবে নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই ভালো করে সেদ্ধ করে তবেই খেতে হবে।
রাসায়নিক দিয়ে যে সব মাংস সংরক্ষণ করা হয়, তাও খেতে পারেন। এতে প্রক্রিয়াকরণের সময় অনেক জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিমের হলুদ এবং সাদা অংশ ১৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে। এতে আর সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে না। চিন্তার কারণ হতে পারে যে সব ব্যাকটেরিয়া বা দূষণকারী পদার্থ তাও দূর হয়।
মনে রাখবেন কম রান্না করা ডিম ভাইরাসকে সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় করার জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় পৌঁছোতে দেয় না। হাফ বয়েল বা পোচ না খাওয়াই ভাল। সেদ্ধ ডিম বা অমলেট খেতে পারেন।
একই ভাবে ভাল করে উচ্চ তাপমাত্রায় খাওয়া মুরগি নিরাপদ বলেই মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মুরগি রান্না করার সময় তাপমাত্রা ৯০ডিগ্রি থেকে ১৬৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হওয়া উচিত। এতে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস মারা যায়। ভাল করে ধুয়ে নিয়ে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের ভয় থাকে না।
সাবধান থাকতে, কাঁচা মুরগি ধোওয়ার পরে সাবান ও জল দিয়ে ভালভাবে হাত ধুয়ে নিন। বাড়িতে পোষ্য থাকলে তার শরীরে যাতে এই রোগ সংক্রমিত না হয়, তাই মুরগি ধোয়া জল যেখানে সেখানে ফেলবেন না। এমনকি অবশিষ্টাংশ যেখানে সেখানে ফেলবেন না। আলাদা করে রাখুন এবং নির্দিষ্ট ময়লা ফেলার জায়গায় সেটিকে ফেলুন। এর পরেও যদি মুরগির মাংস খেয়ে শরীরে বার্ড ফ্লুয়ের কোনও উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে দেরী না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায়, কর্তৃপক্ষ দু’টি দোকান এবং একটি পরিবারে বার্ড ফ্লুয়ের সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গিয়েছে, মুরগি এবং একটি বিড়াল আক্রান্ত হয়েছে। রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই জন্য কর্মকর্তারা আক্রান্ত ওই এলাকার বেশিরভাগ মুরগির দোকান এবং পোল্ট্রি খামার বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন। পোল্ট্রি জাতীয় পণ্য বিক্রি এবং পরিবহনে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
