
গর্ভনিরোধক পিল নিয়ে এখনও সমাজের মনে এবং মেয়েদের মধ্যেও বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। আজকাল বাজারে অনেক রকম গর্ভনিরোধক পিল পাওয়া যায়। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ আগের তুলনায় আরও জোরদার হয়েছে। এখন প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি মহিলা ভুগছেন পিসিওএসের (PCOS) এর সমস্যায়। মূলত হরমোনের অসামঞ্জস্যতা থেকেই আসে এই পিসিওএসের মত রোগ। এই রোগের চিকিৎসাতে ব্যবহার করা হয় গর্ভনিরোধক পিল। অনেকের ধারণ একটানা এই পিল খেলে সেখান থেকে আসতে পারে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা।
কোনও ভাবেই গর্ভধারণ করতে পারবেন না। তবে এই ভাবনা একেবারেই ঠিক নয়। অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা ঠিক করতেও এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরন- এই দুই হরমোন থাকে এই ওষুধের মধ্যে। সম্প্রতি NBT- তে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আর সেখানেই স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নীনা আগরওয়াল গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
অতিরিক্ত গর্ভনিরোধক বড়ি কি বন্ধ্যাত্ব ডেকে আনে?
এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক জানান, খুব ভুল ধারণা যে শুধুমাত্র গর্ভনিরোধ করতেই এই পিল ব্যবহার করা হয়। জন্মনিয়ন্ত্রক এই পিল মহিলাদের ডিম্বানু উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। তার মানে এই নয় যে এই পিল খেলেই বন্ধ্যাত্ব আসবে। হরমোনাল থেরাপি হিসেবেও ব্যবহার করা হয় এই পিল। অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে এই পিলের জুড়ি মেলা ভার।
এই পিলের প্রভাব কতক্ষণ পর্যন্ত স্থায়ী হয়?
এই ওষুধের প্রভাব ততক্ষণ পর্যন্তই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি এই ওষুধ খাচ্ছেন। ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলেই এই পিলের প্রভাব শেষ হয়ে যায়। এরপর আবার শরীরে ডিম্বানু সাধারণ প্রক্রিয়ায় তৈরি হতে শুরু করে। ওষুধ বন্ধ করার তিন বছরের মধ্যেই ফিরে আসে উর্বরতা।
পিল বন্ধ করার পর কি গর্ভধারণ করতে পারেন?
পিল বন্ধ করার পর যদি পিরিয়ডস স্বাভাবিক ভাবে হয়, নিজে থেকে হতে শুরু করে তাহলে আর কোনও সমস্যা থাকে না। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তবেই ওষুধ ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন। পাশাপাশি রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা, ডায়েট এসবও মেনে চলতে হবে। ওজন যত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন ততই কমবে সমস্যা।