অ্যালোভেরা হচ্ছে এমন একটি ভেষজ যার উপকারিতা গুণে শেষ করা মুশকিল। ত্বক থেকে চুল, বদহজম থেকে ওজন কমানো সর্বত্রই অ্যালোভেরার জয়-জয়কার। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রেও এই উপাদানটি বহু যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে, একাধিক প্রসাধনী পণ্য ও হেলদ টনিকে অ্যালোভেরা ব্যবহার দেখা যায়। তবে অ্যালোভেরার এমন বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা প্রায়শই আমরা উপেক্ষা করে যাই। সেই উপকারিতাগুলোর উপর সম্প্রতি পক্ষপাত করেছেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি।
ইনস্টাগ্রামে নিজের যোগা অ্যাপের পেজ থেকে অ্যালোভেরার গুণাগুণ শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। এর পাশাপাশি তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, “অ্যালোভেরা সাধারণত একটি টপিকাল জেল হিসাবে পরিচিত যা সান বার্ন চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে, এটি একাধিক স্বাস্থ্য সুবিধাও প্রদান করে। অ্যালোভেরা আপনার ত্বক, দাঁত, মুখ এবং পাচক স্বাস্থ্যের উপকার করতে পারে। এটি রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের উন্নতিতেও উপকারী হতে পারে। ”
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: গবেষণায় দেখা গেছে অ্যালোভেরার জুসে রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য। ডায়াবেটিস রোগীরা এর সেবনে উপকৃত হতে পারেন। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন অ্যালোভেরার জুস খেলে এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে পারে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: অ্যালোভেরা শরীর এবং ত্বক উভয়ের জন্যই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। এটি ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। তাই শরীরকে ডিটক্স করতে অ্যালোভেরার জুস পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলো শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরার জুস পান করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
হজমে সাহায্য করে: আপনার যদি পেট সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকে তবে অ্যালোভেরার জুস আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। অ্যাসিডিটি, গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমজনিত রোগ এই জুস পান করলে সহজেই দূর হয়। এতে রয়েছে রেচক উপাদান যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় উপকারী হতে পারে। যদিও, সংবেদনশীল হজমশক্তিযুক্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: অ্যালোভেরার জুসের আরেকটি সুবিধা হল এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন অ্যালোভেরার জুস শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। এছাড়া এটি শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে। তবে এর সঙ্গে ব্যায়াম এবং একটি সুষম খাদ্যও প্রয়োজনীয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।