
বর্তমানে ডায়বেটিস গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে যদি কারণগুলি বিবেচনা করা হয়, তাহলে এক নয়, একাধিক কারণ সামনে উঠে আসবে। তার মধ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, নিয়মিত শরীরচর্চা না করা, অত্যাধিক পরিমাণে মানসিক চাপ, অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া ইত্যাদি।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, উপরিক্ত কারণগুলি ছাড়াও অনিদ্রা ডায়বেটিসের একটি বড় কারণ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে একাধিক রোগের উৎপত্তি হয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এটি বিপাকীয় প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলে। ঘুমের অভাব কর্টিসলের মত স্ট্রেস হরমোন বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন ইনসুলিন প্রতিরোধের দিকে পরিচালিত হয় এবং এখান থেকে রক্তে শর্করা বৃদ্ধি পেতে পারে। স্ট্রেস হরমোনগুলি কার্বোহাইড্রেট এবং চিনি যুক্ত খাবার এবং পানীয়ের জন্য আপনার আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ওজন বৃদ্ধি করতে পারে এবং এইভাবে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হতে পারে।
শুধু তাই নয়, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে লেপ্টিন হরমোনও হ্রাস পায়, যা শরীরের কার্বোহাইড্রেটগুলির জন্য আকাঙ্ক্ষা বাড়ায়। কার্বোহাইড্রেট বিপাক নিয়ন্ত্রণের জন্যও লেপ্টিন দায়ী। সুতরাং, আপনি যদি অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে আপনাকে আপনার চিনির মাত্রার উপর একটি ট্র্যাক রাখতে হবে।
আমেরিকান একাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন এবং স্লিপ রিসার্চ সোসাইটির মতে, সুস্থ এবং ফিট থাকার জন্য প্রতি রাতে সর্বনিম্ন সাত ঘণ্টার ঘুম জরুরি। দিনের বেলায় ক্লান্ত বোধ করা দুর্বল ঘুমের একটি বড় লক্ষণ। এছাড়াও অনিদ্রার কিছু উপসর্গ রয়েছে। যেমন ধীর চিন্তাভাবনা এবং কম মনোযোগ, ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব, দুর্বল স্মৃতি, মেজাজ পরিবর্তন, উদ্বিগ্ন, চাপএবং খিটখিটে বোধ করা ইত্যাদি।
আপনি যদি উপরের উপসর্গগুলির মধ্যে একটিরও সম্মুখীন হন, তবে আপনাকে প্রতিদিন ঘুমের সময়সূচী বজায় রাখতে হবে, এমনকি সপ্তাহের শেষেও। একটি স্বাস্থ্যকর ঘুমের চক্র বজায় রাখার জন্য এখানে রইল কিছু সহজ টিপস।
আরও পড়ুন: নবজাতকের মাথার নীচে কেন ব্যবহার করা হয় সরষের বালিশ? জানুন এর উপকারিতাগুলি সম্পর্কে