
মাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর বাঙালি তো মাছ-ভাতেই অভ্যস্ত। গরম ভাত, ডাল আর গরম ভাজা মাছের যেমন জুড়ি নেই তেমনই মাছের ঝোল ভাত খাওয়ার মধ্যে যে তৃপ্তি আছে তা অন্য খাবারে সচরাচর আসে না। স্বাস্থ্য আর পুষ্টির জন্য আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন ব্রেকফাস্টেই মাছ খেতে। শুনে অবাক লাগছে? এমনটাই কিন্তু পরামর্শ তাঁদের। চরক সংহিতাতে যেমন বলা হয়েছে সকালে আমিষ খাবার খেলে শরীরের জন্য ভাল এবং তা পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখবে।
কেন ব্রেকফাস্টে মাছ খাবেন?
প্রাচীন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ আবরার মুলতানির মতে, মাছে উচ্চমানের প্রোটিন, আয়োডিন, ভিটামিন ডি এবং বিভিন্ন ভিটামিন -খনিজ রয়েছে। আমাদের মধ্যে প্রায়শই এই খনিজ, ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়। আর তাই এই ঘাটতি দূর করার জন্যই মাছের এত গুরুত্ব। মাছ মানুষের শরীরের অনেক রকম দুর্বলতা দূর করে। রাত ছাড়া দিনের যে কোনও সময় মাছ খাওয়া যেতে পারে। তবে মাছও পরিমিত খেতে হবে। সামুদ্রিক মাছ সবচাইতে বেশি কার্যকর। এছাড়াও রুই, কাতলা খাওয়াও খুব ভাল।
মাছের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়াও মাছের মধ্যে থাকে এমন কিছু পুষ্টি যা আমাদের মস্তিষ্ক, চোখের গঠনে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়। মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে মাছ। মাছের মধ্যে প্রোটিনও প্রচুর পরিমাণে থাকে। যা পেশীর গঠনে সাহায্য করে। যাঁরা জিম করেন তাঁদের রোজ মাছ খাওয়া উচিত। এতে শরীরের সতেজ ভাব সারাদিন বজায় থাকবে।
আজকাল সকলের শরীরেই ভিটামিন ডি খুবই কম। মাছ থেকে অনেকটা পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। আর তাই মাছ অবশ্যই রাখুন রোজকার ডায়েটে। সূর্যালোক ছাড়া ভিটামিন ডি তেমন কোনও কিছুতে পাওয়া যায় না। সূর্যালোক গায়ে লাগানোর সুযোগও এখন তেমন থাকে না। আর তাই মাছ খেলে হাড়ের গঠন ঠিক থাকে। সহজে ভেঙে যায় না।
হার্টের পেশী দুর্বল হয়ে গেলে হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর হার্টের জন্য খুবই উপকারী হল মাছ। মাছের মধ্যে থাকে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যে কারণে হার্টের রোগীদের রোজের ডায়েটে মাছ রাখা হয়।