
শীতের সকালে বাজার ফেরত মানুষদের ব্যাগে বাঁধাকপি ও ফুলকপি থাকবে না, তা নয়। দুপুরের পাতে যে কোনও একটা পদ থাকেই বাঁধাকপি ও ফুলকপির। কখনও বাঁধাকপি দিয়ে শাক চচ্চড়ি আবার কখন মাছ ও আলু দিয়ে ফুলকপির তরকারি। কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীদের কি বাঁধাকপি ও ফুলকপি খাওয়া উচিত? ডায়াবেটিসের রোগীদের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে নানা বাধা নিষেধ থাকে। যেমন উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার খাওয়া চলে না। ফাইবারে ভরপুর খাবারের উপর জোর দিতে হয়। কিন্তু শীতের আনাজ হিসেবে বাঁধাকপি ও ফুলকপি খেলে কি সুগার বাড়বে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পুষ্টিগুণে ভরপুর বাঁধাকপি। আর এই সবজির গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। তাই বাঁধাকপি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। বরং, এই সবজিতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়া এই আনাজের মধ্যে ভিটামিন সি, কে এবং ক্যালশিয়াম, ফসফরাস সবই পেয়ে যাবেন।
ডায়াবেটিসে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা চ্যালেঞ্জের হয়ে যায়। সেখানে ফাইবারে ভরপুর বাঁধাকপি ওজন কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ডায়াবেটিসে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাঁধাকপিতে থাকা ভিটামিন ও ফাইটো নিউট্রিয়্যান্টস স্নায়ুর স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পাশাপাশি ভিটামিন সি সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে বাঁধাকপি দিয়ে তৈরি পদ খেতে পারেন।
ডায়াবেটিসের রোগীদের সব সময় ক্যালোরি ডায়েট অনুসরণ করা উচিত। আর এক্ষেত্রে আপনি নির্দ্বিধায় ফুলকপি খেতে পারেন। ফুলকপির মধ্যে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই সবজিতে ফ্যাট নেই বললেই চলে। তাই ফুলকপি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই।
ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা দেয়। এই অবস্থাকে প্রতিরোধ করার জন্য আপনি ফুলকপি খেতে পারেন। ফাইবারের পাশাপাশি ফুলকপিতে পটাশিয়াম রয়েছে। এই উপাদান রক্তচাপে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফুলকপিতেও ভিটামিন সি রয়েছে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আপনি ফুলকপি খেতে পারেন।
এই শীতে আপনি ফুলকপি ও বাঁধাকপি দুটোই খেতে পারেন। কিন্তু এমন কোনও পদ রান্না করে খাবেন না, যার মধ্যে বেশি তেল-মশলার প্রয়োজন। কম তেলে রান্না করা ফুলকপি ও বাঁধাকপির যে কোনও পদ আপনি খেতে পারেন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।