বর্তমানে খুবই পরিচিত একটি খাবার হল ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসির বীজ। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের অন্যতম সঙ্গী এই বিশেষ বীজ। অনেকেই তাই সকাল-সকাল এই বীজ খেয়ে থাকেন। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন গুণের শেষ নেই এই বীজের। কোলেস্টেরল থেকে ডায়াবেটিস সব সমস্যাকে বশে আনার ক্ষমতা রয়েছে এই বিশেষ বীজের। তবে আর দেরি না করে জেনে নিন এই বীজের গুণাগুণ ও কীভাবে খেলে কাজ হবে দ্রুত….
তিসির বীজের পুষ্টিগুণ:
মাত্র ১০০ গ্রাম তিসির বীজ ৫৩৪ ক্যালোরি শক্তি সরবরাহ করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ১৮ গ্রাম প্রোটিন, ৪২ গ্রাম ফ্যাট, ২৭ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার এবং ১.৬ গ্রাম চিনি। ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম সহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে এতে।
কোলেস্টেরল কমায় –
তিসির বীজে ৩.৭ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। তাই এই বীজ উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে-
তিসির বীজে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে যা শরীরে চিনিকে দ্রুত শোষিত হতে দেয় না। অতএব, যদি তিসির বীজ খুব সকালে খাওয়া হয়, তাহলে সারা দিন রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হজমশক্তি উন্নত করে-
যেহেতু এই বীজে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, তাই এটি হজমের সমস্যা দূর করতে পারে। তিসির বীজে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে যা হজমের জন্য দারুণ ভাল একটি উপায়। যদি তিসির বীজ হালকা গরম জলের সঙ্গে পান করা হয় তবে এটি গর্ভধারণের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় –
হেলথলাইনের খবর অনুযায়ী, একটি টেস্ট টিউব সমীক্ষায় দেখা গেছে যে তিসির বীজ সেবন অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সফল হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, তিসির বীজ মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। একই সঙ্গে এটি ত্বকের ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও এড়ায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী –
তিসির বীজ দিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।একটি গবেষণায় উঠে এসেছে নিয়মিত যে ৩০ করে তিসির বীজ খাওয়া লোকেদের রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তবে এই বীজ বেশি পরিমাণে খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ বা পুষ্টিবিদের সাথে কথা বলুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।