আজকাল সুস্থ থাকতে অনেকেই ডায়েট মেনে চলেন। কেউ-কেউ আবার ব্যয়বহুল ডায়েটও মানেন। সেই সঙ্গে জিম বা যোগব্যায়ামতো রয়েছেই। তবে জানেন কি সুস্থ ও ছিপছিপে থাকতে এটাই জরুরি নয়। তাড়াতাড়ি ওজন ঝরাতে অনেকেই সাপ্লিমেন্টও নেওয়া শুরু করেন। প্রোটিনের পরিবর্ত হিসেবে এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে যে কতটা ভুল করছেন তা নিজেও জানেন না। এই ধরেনর সাপ্লিমেন্টগুলি শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এটা সত্য যে প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভাল নয়গবেষণায় জানা গিয়েছে যে অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি হয় শরীরের।। তাই জানুন অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে কী-কী ক্ষতি হয় শরীরের…
ওজন বৃদ্ধি-
মানুষ ওজন কমানোর জন্য কম কসরত করেন না। আর নিজের অজান্তেই কিছু ভুলের কারণে উল্টে ওজন বাড়িয়ে পেলেন। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে প্রাথমিকভাবে ওজন কমলেও দীর্ঘদিন তা হয় না। অতিরিক্ত প্রোটিন চর্বি হিসাবে জমা হয় এবং এর কারণে শরীর থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড নিঃসৃত হয়। এ কারণে পরবর্তীতে স্থূলতার সমস্যা হতে পারে।
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ-
অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণকারীদের নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা হয়। কারণ এতে শরীর কেটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এতে শরীরে একটি রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয় যা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা-
যারা উচ্চ প্রোটিন গ্রহণ করেন তাদের অধিকাংশই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য়ায় ভোগেন। উচ্চ প্রোটিনযুক্ক খাদ্যে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার থাকে। ফলে এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।
ডায়রিয়া-
প্রোটিনের পরিপূরক হিসেবে অত্যধিক পরিমাণে দুগ্ধজাত দ্রব্য খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। তাই ডায়েটে নজর দিন। অতিরিক্ত পরিমাণে দুগ্ধজাত খাবার খাবেন না।
শরীরে জলের অভাব-
উচ্চ প্রোটিন খাদ্য শরীর থেকে নাইট্রোজেন এবং জল বের করে দেয় ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্য়া হতে পারে। আপনি যদি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ডায়েট মেনে চলেন তাহলে যতটা সম্ভব জল পান করার চেষ্টা করুন।
হার্টের সমস্যা-
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাদ্য যেমন- রেড মিট, ফুল ফ্যাট দুধ হার্টের স্বাস্থ্যকে দুর্বল করে দেয়। শুধু তাই-ই নয়, এতে কোলেস্টেরলের সমস্য়া বাড়ে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।