
শুধু খাবারে স্বাদ বাড়ানোর জন্য দারুচিনি ব্যবহার করেন। এছাড়া আর কোনও কাজে লাগে না, ভাবছেন? ভুল ভাবছেন। আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে এই মশলা আপনার অনেক কাজকে সহজ করে তুলতে পারে। ওজন কমানোর জন্য অনেকেই সকালবেলা খালি পেটে উষ্ণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করেন। একইভাবে, আপনি লেবুর জলের বদলে দারুচিনির জল পান করলে বেশি উপকার পাবেন। এতে মেদ গলবে, পাশাপাশি একাধিক উপকারিতাও মিলবে। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে দারুচিনি।
মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে: দারুচিনির মধ্যে থার্মোজেনিক উপাদান রয়েছে, যা দেহের মেটাবলিক রেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই মশলার মধ্যে থাকা উপাদান দেহে তাপ উৎপন্ন করে এবং হজম হওয়া খাবার থেকে ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। এটি মেটাবলিজমের উপর প্রভাব ফেলে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দারুচিনি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তে সুগার লেভেল বশে থাকলে মিষ্টি ও ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমে। আর এতে ওজনও বশে থাকে। এটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপযোগী।
খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করে: দারুচিনির গন্ধ মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলে এবং এটি মিষ্টি ও ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমাতে সাহায্য করে। দারুচিনি যুক্ত খাবার খেলে মনে হয় পেট ভরে রয়েছে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকা যায়।
হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে: প্রাচীনকাল থেকে হজমের জন্য দারুচিনি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই মশলা বদহজম, পেট ফোলা এবং খাবার খাওয়ার পর শারীরিক অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়। আপনার হজম স্বাস্থ্য ভাল থাকলে এটি দেহে পুষ্টি শোষণে ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। হজম স্বাস্থ্য উন্নত হলে ওজন কমানো সহজ হয়ে যায়।
পুষ্টিতে ভরপুর: দারুচিনির মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ও মেটাবলিক ডিসঅর্ডার থেকে মুক্তি দেয়। অন্যদিকে, দারুচিনির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দেহের অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে রোগের ঝুঁকি কমায়।
শরীরকে ডিটক্সিফাই করে: দারুচিনির জল পান করলে, এটি দেহে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। পাশাপাশি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এতে ওজন কমানো আরও সহজ হয়ে যায়।