নিয়মিত আমন্ড (Almond), পেস্তা, বাদামের সঙ্গে অনেকেই আখরোট (Walnuts) খেয়ে থাকেন। মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ায় উৎপাদিত শুকনো ফলের গুণের শেষ নেই। আখরোটে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন (Vitamin), ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এছাড়াও এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ডায়েটে (Diet) আখরোট যোগ করলে পাওয়া যাবে উপকার। আসুন জেনে নেওয়া যাক আখরোট শরীরের জন্য ঠিক কতটা উপকারী।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ:
আখরোট শরীরে বাজে কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সেই সঙ্গেই রক্তনালীর কার্যকারিতা বাড়ায়।
শক্তি জোগায়:
আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন ও খনিজ রয়েছে যা শরীরের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। এতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সারাদিন শরীরকে তরতাজা রাখে।
পুরুষদের বাড়তি সুবিধা:
পুরুষদের স্ট্যামিনা বাড়াতে সাহায্য করে এই শুকনো ফল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে আখরোট পুরুষদের দীর্ঘক্ষণ বিছানায় সক্ষম হতে সাহায্য করে। এছাড়াও পুরুষদের দীর্ঘ অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই শুকনো ফল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। শুধু তাই নয়, শরীরের যেকোনও ধরনের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য় করে এটি।
মস্তিষ্ক সচল রাখে:
বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, আখরোট মস্তিষ্ক সচল রাখে। এবং যাঁদের ঘুমের সমস্য়া রয়েছে তাঁদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই আখরোট।
আখরোটের পুষ্টিগুণ অনেক হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া চলবে না। কারণ এতে ক্ষতি হতে পারে। NCBI-এর মতে,আখরোট বেশি খেলে ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে। এর খোসায় এমন কিছু উপাদান থাকে যার কারণে ত্বকে লালচে ভাব দেখা যায়। সেখান থেকে ফুসকুড়ির সমস্যা হয়। তাই ত্বকের কোনও সমস্যা যদি আগে থেকেই থাকে তাহলে এড়িয়ে চলুন আখরোট। এনআইএইচের মতে, আখরোটের মধ্যে থাকা অতিরিক্ত ফাইবার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা তৈরি করতে পারে। যদিও বাদাম হজমের সমস্যার জন্য ভাল কাজ করে, অন্ত্র ভাল রাখে তবুও খুব বেশি প্রোটিন খাওয়াও ঠিক নয়। আখরোটের মধ্যে থাকে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন। আর তাই আখরোট খেলে সমস্যা বাড়বেই। খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।