
ফিটনেস ফ্রিক (Fitness Freak) মানুষদের ডায়েটে যোগ হয়েছে নতুন পানীয় গ্রিন টি (Green Tea)। ওজন ঝরাতে (Weight Loss) তাঁদের মূল ভরসা এখন গ্রিন-টি। সকাল, দুপুর, রাত যখন পারছেন চুমুক দিচ্ছেন এই পানীয়ে? তবে জানেন কি অতিরিক্ত গ্রিন-টি ক্ষতি করতে পারে শরীরের? না জেনেই দেদার গ্রিন-টি পান না করে জানুন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সতর্ক হন।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি:
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রিন-টি পাকস্থলীতে অ্য়াসিড উৎপন্ন করে। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
মাথা যন্ত্রণা:
খুব বেশি পরিমাণে গ্রিন -টি খেলে মাথা যন্ত্রণার সমস্য়া শুরু হতে পারে। এতে ক্য়াফেইন উপস্থিত যা মাইগ্রেনের সমস্য়াকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
ঘুমের অভাব:
এই বিশেষ চায়ে উপস্থিত ক্য়াফেইন ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়। অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রিন-টি সেবন করলে রাতে ঘুম আসে না। ফলে বাড়ে একাধিক রোগের ঝুঁকি।
হরমোনের ভারসাম্য়হীণতা:
গ্রিন-টি শরীরে মেলাটোনিন নামক হরমোনের ক্ষরণে বাধা দেয়। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য়হীণতা দেখা দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য়া:
যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাঁদের একেবারেই এই বিশেষ চা খাওয়া চলবে না। কারণ এই চা কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
প্রস্রাবে সমস্য়া:
গ্রিন টি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হলে ক্ষতি হতে পারে কিডনির।
কতটা পরিমাণে খাবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে তিন থেকে চার কাপ গ্রিন-টি খাওয়া যেতে পারে। পরিমাণটা এর থেকে বেশি হলেই দেখা দিতে পারে উপরিউক্ত সমস্য়া গুলি। এবং গ্রিন-টি খাওয়ার সময় মাথায় রাখতে হবে আরও একটি বিষয়। খালি পেটে একেবারেই নয় এই পানীয়। কারণ খালিপেটে এই চা খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিড ক্ষরণ হয়। যা ধীরে-ধীরে আলসারের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তবে গ্রিন-টির বেশ কিছু উপকারিতাও রয়েছে। এতে উপস্থিত পলিফেলন শরীরে ফ্যাট অক্সিডেশন পক্রিয়াকে কার্যকর করে। এবং খাবার থেকে ক্যালোরি তৈরিতে সাহায্য় করে। ফলে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে না। গবেষণা বলছে, দিনে ৭০ ক্য়ালোরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করতে পারে এই বিশেষ চা। এছাড়াও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ও রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক করতেও সাহায্য করে গ্রিন-টি। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় এই বিশেষ চায়ের গুণে। এটি নিয়মিত পান করলে চুলের ঔজ্জ্বল্য অটুট থাকে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।