কার্বন-ডাই-অক্সাইড মনিটর ব্যবহার করে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে ঘরের ভিতর কোভিড ১৯ ও অন্যান্য লায়ুবাহিত জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার আশঙ্কা থাকার কথা জানিয়েছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (MIT) গবেষকরা।
তাঁরা জানিয়েছেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড মনিটর একটি স্কুল ও অফিসের মতো অভ্যন্তরীন স্থানগুলিতে সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিকে ট্র্যাক করতে সহায়তা করতে পারে এবং ভবিষ্যতের বায়ুর মানের পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করতে পারে।
রাসায়নিক বিভাগের অধ্যাপক মার্টিন জেড বাজান্ট জানিয়েছেন, ভবনগুলিতে বায়ু পরিচালনার গুণমান মূল্যায়,নের জন্য কয়েক দশক ধরে CO2 মনিটর ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে কোভিড ১৯ যুক্ত হওয়ায় আভ্যন্তরীণ বায়ুবাহিত রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য একটি পুনরায় পরিকল্পনা করা যেতে পারে। এটা এমআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফলিত গবেষণা জানাচ্ছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, নিরাপত্তার নির্দেশিকার সঙ্গে এই সম্ভবনার মূল্যায়ন কীভাবে করা যায়, তা আমরা দেখিয়েছি। আশা করা যায় যে স্কুল ও ব্যবসাগুলির মতো অভ্যন্তরীণ স্থানগুলি বন্ধ ও ফের খোলার বিষয়ে ব্যক্তিগত ও নীতিগত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সুপার-স্প্রেডার ইভেন্টের তথ্য ব্যবহার করে দলটি একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছে যা কোভিড ১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে অন্যান্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমিত হতে গড় কত সময় লাগতে পারে। এর থেকে একটি সুরক্ষা নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। ভাগ করা জায়গায় সময়সীমা নির্ধারণ করেছে, ঘরের আকার, সংক্রামিত ও সংবেদনশীল মানুষের সংখ্যা, তারা কী করছে, বায়ু চলাচল ও মুখোশ ব্যবহার করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
তবে এই পর্যবেক্ষণের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও বায়ুবাহিত জীবাণুগুলির ঘনত্ব কঠোরভাবে সংযুক্ত নয়। কারণ বাতাসে ভাইরাসের পরিমাণ মুখের মাস্ক ব্যবহার-সহ বেশ কয়েকটি কারণে প্রভাবিত হয়। ভাইরাসের অন্য ভেরিয়্যান্টগুলিকে বিবেচনা করা হয়েছে। যার মধ্যে শুধু মাস্ক নয়, বায়ু চলাচল, বায়ু পরিস্রাবণের ব্যবহার, ক্রিয়াকলাপের মাত্রা ও সংক্রামক বা সংক্রমণের জন্য সম্ভাব্য মানুষের সংখ্যা মহামারির বিভিন্ন পর্যায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০টিরও বেশি প্যারামিটার মডেলের মধ্যে ফির করে কতটা ভাইরাসের মাত্রা রয়েছে তার অনুমান তৈরি করে। কতটা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে তা নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: Miscarriage: পাকা পেঁপে খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়! এই ধারণা কী আদৌও ঠিক?