Polycystic Ovary Syndrome: PCOS- এর কারণ তো জানেন কিন্তু এই লক্ষণগুলির কথা জানতেন কি?
Polycystic ovary: সব সময় যে শুধুমাত্র পিরিয়়সের সমস্যা হলেই PCOD হয় এমন নয়, অ্যাংজাইটি, মেজাজ হারানো, ডিপ্রেশন, মাথা ব্যথা এসবও কিন্তু পিসিওডির লক্ষণ...
বর্তমান বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলাই PCOS-এর সমস্যায় ভুগছেন। লকডাউনের পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা বেড়েছে অনেকখানিই। জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা। PCOS-মেয়েদের হরমোন ঘটিত একটি অসুখ। যার কারণে শরীরের প্রয়োজনীয় হরমোনগুলি ঠিকমতো কাজ করে না। অন্যদিকে পুরুষ হরমোনের আধিক্য দেখা দেয় শরীরে। বএছাড়াও পিরিয়ডসের সমস্যা, থাইরয়েড, ওজন বেড়ে যাওয়া এসবও কিন্তু পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের লক্ষণ।
PCOS-এর জন্য মেয়েদের দুই ওভারিতেই ছোট মুসুরদানার আকারে বেশ কিছু সিস্ট থাকে। যার জন্যই পিরিয়ডস অনিয়মিত হয়ে যায়। কখনও তা খুব দীর্ঘস্থায়ী হয় কখনও একেবারেই হয় না। মূলত ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেকা যায়। সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ মেয়েরা- অনেকেই এই সমস্যার শিকার। এর আগে পিসিওএস নিয়ে মুখ খুলেছেন সোনম কাপুর। জানিয়েছেন তাঁকে ওই কটা দিন কত রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সম্প্রতি পিসিওএস নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন আমেরিকান অভিনেত্রী কেকে পালমের ( Keke Palmer)।
সেখানেই তিনি লেখেন, দীর্ঘদিন ধরেই অ্যাকনের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এছাড়াও তাঁর ফেসিয়াল হেয়ার গ্রোথ বেশ বেশি ছিল। ত্বকও অয়েলি ছিল, ব্রণর সমস্যাও লেগে থাকত। কেকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন, ডায়েট করতেন কিন্তু তাতেও কোনও সুরুাহা হয়নি। তখন কেকের মনে হয়, তাঁর অ্যাকনে ছাড়াও অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে। যা তিনি নিজেও জানেন না। এরপরই তার পিসিওএস ধরা পড়ে।
পিসিওএস-এর সমস্যা থাকলেই পিরিয়ডস অনিয়মিত হবে। সেই সঙ্গে ডিম্বাশয়ে পর্যাপ্ত ডিম্বানু তৈরিতে বাধা দেয়। যাঁরা পিসিওএসে ভোগেন অনেকেই কিন্তু প্রথমে তা বুঝতে পারেন না। হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া, মুড স্যুইং কিবা অনিয়মিত পিরিয়়সের সমস্যা হলে প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনীয় কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলুন। সেই সঙ্গে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতেই হবে। ডায়েটেও আনতে হবে পরিবর্তন।
PCOS- এর সমস্যা হলে ওজন বেড়ে যায়। আর সেই বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা কিন্তু বেশ কঠিন। সেই সঙ্গে ক্লান্তি, অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন এসব তো থাকেই। দিল্লির স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ গৌরি আগরওয়াল যেমন জানাচ্ছেন, হরমোনের তারতম্য জনিত কারণেই মেয়েরা এই সমস্যায় ভোগেন। মূলত ডিম্বাশয়ে একাধিক ছোট ছোট সিস্ট থাকে। অনেক সময় সেই সিস্ট আকারে বড় হয়ে যায়। আর সিস্ট বড় হলে সমস্যা অনেক বেশি জটিল হয়ে যায়। তখন তা মাতৃত্বের পথেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়াও আরও যে সমস্ত লক্ষণ থাকে
শরীরের সর্বত্র অবাঞ্ছিত লোম থাকে। বিশেষত মুখে সব থেকে বেশি লোম থাকে। এছাড়াও বিশেষ একটি চুল থাকে থুতনিতে। অনেকের ক্ষেত্রে ত্বক বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায়। নানা রকম অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। যা হয়ত আগে ছিল না। অনেকের ঘাড়ে আর কনুইয়ের কাছে সাদা ছোপও থাকে। ত্বক কোথাও কোথাও কুঁচকে যায়। শরীরে ইনসুলিন রেজিসট্যান্স পাওয়ারও কমে যায়। যা সাধারণ পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। এছাড়াও থাকে মুড স্যুইং আর মাথাব্যথা। বিরক্ত, ডিপ্রেশন, ঘুম কম হওয়া এসবই হল পিসিওএস এর লক্ষণ। অনেক সময়ই কিন্তু মেয়েরা এই লক্ষণ এড়িয়ে যান। যাঁদের চেহারার গড়ন ভারী তাঁদের PCOS-এ ভোগার সম্ভাবনা কিন্তু অনেকটাই বেশি। তবে রোজকার জীবনযাত্রা, খাওয়াদাওয়া এবং অভ্যাসে বদল আনতে না পারলে এই রোগকে ঠেকানো মুশকিল। গ্রামের মেয়েদের তুলনায় শহরের মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: World AIDS Day 2021: সচেতনতা নামেই, ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইটা মোটেও সহজ নয়! কারণ…