Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Male Infertility: জিমে যান, প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খান? বীর্য কার্য হারাচ্ছে না তো?

Male Infertility: জিমগুলিও ব্যবসার জন্য এই সব প্রোটিন প্রাউডার বিক্রি করতে চায়। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এই সব প্রোটিন পাউডার শরীরের জন্য খুব একটা ভাল নয়।

Male Infertility: জিমে যান, প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খান? বীর্য কার্য হারাচ্ছে না তো?
Follow Us:
| Updated on: Mar 15, 2025 | 8:41 PM

দম্পতির সন্তান না হলে এতকাল আমাদের সমাজে মহিলাদের দায়ী করা হত। যদিও সাম্প্রতিকতম কিছু গবেষণায় উঠে আসছে একদম ভিন্ন তথ্য। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের প্রবণতা বাড়ছে। তার পিছনে দায়ী আমাদের প্রতিদিনের কিছু জীবনধারা। অস্বাস্থ্যকর খাবার দাবার খাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন বিশেষ করে রয়েছে এর নেপথ্যে। তেমনই চিকিৎসকদের মতে আমাদের অনেককেই পেশাগত কারণে এমন অনেক কিছু করতে হয় যা পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

অনেকেই আজকাল স্বাস্থ্য সচেতনও। নিজেকে ফিট রাখতে ছিপছিপে চেহারার অধিকারী হতে প্রতিদিন জিমে যান অনেকে। ভালো পেশিবহুল চেহারা পেতেও অনেকে জিমে যান। পেশিবহুল চেহারার সেই শখ পূরণ করতে, দ্রুত কাঙ্খিত শরীর অর্জন করতে নানা প্রোটিন সাপ্লিমেন্টস নেন অনেকে। প্রোটিন শেক গ্রহণ করে খাবারের জায়গায়। জিমগুলিও ব্যবসার জন্য এই সব প্রোটিন প্রাউডার বিক্রি করতে চায়। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এই সব প্রোটিন পাউডার শরীরের জন্য খুব একটা ভাল নয়। দ্রুত পেশিবহুল চেহারা পেলেও এর ফলে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তার মধ্যেই একটি হল পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব।

কিন্তু এই সব প্রোটিন পাউডারের অনেকগুলির মধ্যেই থাকে অ্যানাবলিক নামক এক ধরনের স্টেরয়েড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই স্টেরয়েড, পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের জন্য বিশেষ ভাবে দায়ী।

প্রজনন এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মৌমিতা নাহা বলেন, “বডি বিল্ডিংয়ের জন্য এখন অনেকেই পোস্ট ওয়ার্ক আউট প্রোটিন শেক নেন। এই ধরনের পাউডারে অ্যানাবলিক স্টেরয়েড থাকতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “এই অ্যানাবলিক স্টেরয়েড শরীরের গেলে সাধারণ টেস্টোস্টেরন উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। যা স্বাভাবিক নিয়মে বীর্য উৎপাদনকে প্রভাবিত করে এবং খুবই খারাপ। সবচেয়ে সাংঘাতিক বিষয় হল, অ্যানাবলিক স্টেরয়েড নেওয়া বন্ধ করে দিলেও কবে আপনার শরীরের সাধারণ টেস্টোস্টেরন উৎপাদন স্বাভাবিক হবে তা বলা সম্ভব নয়। কখনও কখনও টেস্টোস্টেরন লেভেল স্বাভাবিক হতে প্রায় ২-৩ বছর সময় লাগতে পারে। বীর্য উৎপাদন একদম স্বাভাবিক হতে ওই রকম সময় লেগে যেতে পারে।”

মৌমিতা নাহা জানান, তাই শরীরচর্চা করা বা জিম করায় ক্ষতি নেই। কিন্তু কখনই অ্যানাবলিক স্টেরয়েড সমৃদ্ধ কোনও খাবার গ্রহণ করবেন না। নাহলে বিপদ বাড়তে পারে আপনারই।