
দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে চোখ রাখায় কমছে দৃষ্টিশক্তি। তার সঙ্গে দূষণ, অ্যালার্জি রয়েছে। আজকাল কমবয়সিদের চোখের সমস্যা বেশি। হাইপারমেট্রোপিয়া, মাইওপিয়ার মতো একাধিক চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চোখের সমস্যা আবার অনেকের ছোট বয়স থেকে চশমা পড়তে হয়। আবার অনেকে লেন্স ব্যবহার করেন। চশমা লুক নষ্ট করে দেয়—এই ভেবেও অনেকে লেন্স বেছে নেন। যদিও চশমা ও লেন্স দুটো ব্যবহারেরই নিজস্ব সুবিধা রয়েছে। কিন্তু আপনি নিজের জন্য কোনটা বেছে নেবেন—চশমা নাকি কন্ট্যাক্ট লেন্স?
চশমা ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা:
বারবার চোখে হাত দেওয়ার অভ্যাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু চশমা পরলে চোখে ঘন ঘন হাত দেওয়ার অভ্যাস তৈরি হয় না। যদি শুষ্ক বা সংবেদনশীল চোখের সমস্যা থাকে, তাহলে চশমা সবচেয়ে কার্যকর। তবে, চশমা চোখ থেকে প্রায় ১২ মিমি (আধ ইঞ্চি) দূরে থাকে, তাই এটি পেরিফেরাল দৃষ্টি নষ্ট করতে পারে।
কন্ট্যাক্ট লেন্সের সুবিধা ও অসুবিধা:
স্পষ্ট দৃষ্টি পাওয়ার জন্য কন্ট্যাক্ট লেন্স বেশি কার্যকর। যাঁদের মাইনাস পাওয়ার অর্থাৎ খুব বেশি পাওয়ার, তাঁদের জন্য কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করা উচিত। খেলাধুলো ও শরীরচর্চা করার সময় চশমা ব্যবহারের চেয়ে কন্ট্যাক্ট লেন্স পরাই ভাল। ভারী চশমা পরতে সমস্যা হলে আপনি কন্ট্যাক্ট লেন্স বেছে নিতে পারেন। তাছাড়া চোখে কন্ট্যাক্ট লেন্স পরলে আপনার লুকও নষ্ট হয় না। প্রথমদিকে কন্ট্যাক্ট লেন্স পরতে সমস্যা হলেও, সময়ের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। ডিসপোজেবল কন্ট্যাক্ট লেন্স, আরজিপি কন্ট্যাক্ট লেন্স, সফট বা ডেইলি ওয়ার কন্ট্যাক্ট লেন্স—বিভিন্ন ধরনের কন্ট্যাক্ট লেন্স পাওয়া যায়। আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী কন্ট্যাক্ট লেন্স বেছে নিন।
কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সর্তকতা মেনে চলা দরকার। নিয়ম মেনে কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার না করলে চোখের ক্ষতিও হতে পারে। স্নান করার সময় কন্ট্যাক্ট লেন্স পরবে না। একইভাবে, সাঁতার কাটার সময়ও কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করা উচিত নয়। কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের পর কন্ট্যাক্ট লেন্সের সলিউশনে ডুবিয়ে রাখতে হয়। এই স্টেপ একদমই এড়িয়ে চলবেন না। কন্ট্যাক্ট লেন্স পরে ভুলেও ঘুমোতে যাবেন না। তাছাড়া একটানা কন্ট্যাক্ট লেন্স পরার অভ্যাস মোটেও ভাল নয়। এছাড়া নির্দিষ্ট সময় অন্তর কন্ট্যাক্ট লেন্স পাল্টাতে থাকুন। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করবেন না।