গরম ভাতে হোক কিংবা ব্রেকফাস্টে পাউরুটির সঙ্গে, এক চামচ ঘি হলেই খাওয়া জমে যায়। আর সেটা যদি দেশি ঘি হয়, তাহলে তো কথাই নেই! প্রাচীনকাল থেকেই দেশি ঘি খাওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের হাড় মজবুত করতে দেশি ঘি খাওয়া এবং তা দিয়ে মালিশ করাও উপকারী বলে মনে করা হয়। তবে আগে ঘি বেশিরভাগই বাড়িতে তৈরি করা হত। তাই এতে ভেজালের কোনও সুযোগ ছিল না এবং কোনও চিন্তা ছাড়াই এটি খেতে পারেন। কিন্তু, বাজারে যে ঘি পাওয়া যায় তাতে ভেজাল রয়েছে, যা উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে ভেজাল ঘি শনাক্ত করা খুব একটা কঠিন নয়।
দেশি ঘি খেলে শুধু মাংসপেশি মজবুত হয় না, ত্বকও শুষ্ক হয় না এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদেরও উপকার হয়। দেশি ঘিতে অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা হাড় এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গের জন্যও উপকারী। কীভাবে ভেজাল ঘি ও ভাল ঘি চিনবেন জেনে নিন।
জল দিয়ে ঘি পরীক্ষা- দেশি ঘি ভেজাল কিনা বা খাওয়ার উপযোগী কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য একটি গ্লাসে হালকা গরম জল নিয়ে তাতে এক চামচ দেশি ঘি মিশিয়ে চামচ দিয়ে নাড়ুন। ঘি ভেজাল হলে জলে ভালভাবে ও দ্রুত গলে যায় না। অথচ আসল ঘি জলে গলে উপরে ভেসে থাকে।
ঘি-এর রঙ পরীক্ষা- ভেজাল ঘি বেশি চর্বিযুক্ত এবং এর রঙ সাদা দেখায়। আর আসল ঘি হালকা হলুদ দেখায় এবং এটি খুব বেশি চর্বিযুক্ত নয়। এভাবে আলাদা পাত্রে পাশাপাশি বাজারের ঘি ও ঘরে তৈরি ঘি রেখে পরীক্ষা করতে পারেন।
আয়োডিন দ্রবণে পরীক্ষা- আয়োডিন দ্রবণ দিয়ে পরীক্ষা করা যে কোনও খাবারের পরীক্ষা করার জন্য একটি ভাল উপায় বলে মনে করা হয়। দেশি ঘি একটি পাত্রে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন দ্রবণ মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর দেখুন, এর রং পরিবর্তন হলে ঘি ভেজাল হতে পারে।
এই সমস্ত পদ্ধতির মাধ্যমে ভেজাল ঘি পরীক্ষা করতে পারেন এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি এড়াতে পারেন।