
রাতে ঘুমনোর আগে টিভির রিমোট হাতে কিংবা মোবাইল স্ক্রল করছেন, আর আচমকা খিদে পেল। এই সময় কী খাওয়া ভাল? অনেকেই তা জানেন না। আর সেখানেই করে বসেন ভুল। রাত বাড়লেই অনেকের পেটে শুরু হয় হালকা চনমনানি। হাতের কাছে যদি থাকে চিপস বা মিষ্টির প্যাকেট তা হলে তখন যেন সেটাই সবচেয়ে আকর্ষণীয়! কিন্তু স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ হিসেবে অনেকেই এই সময় বেছে নেন একটি আপেল (Apple)। প্রশ্ন হল, সারাদিনের ব্যস্ততার শেষে, ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগে এই ফাইবার-সমৃদ্ধ ফলটি খাওয়া কি শরীরের জন্য সত্যিই আশীর্বাদ? নাকি এর কিছু গোপন ঝুঁকিও আছে? চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আপেল হল ফাইবারের রাজা। এতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার পেটে গিয়ে ফুলে ওঠে। যা আপনাকে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়। ফলে গভীর রাতে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপেলে প্রাকৃতিক চিনি থাকলেও ফাইবার থাকার কারণে তা রক্তে খুব ধীরে ধীরে মেশে। ফলে রাতে হঠাৎ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না বা কমেও যায় না। যা মিষ্টি বা প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকসের চেয়ে অনেক ভাল। আপেলের ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সচল রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
আপেল নিঃসন্দেহে একটি স্বাস্থ্যকর এবং হালকা স্ন্যাকের কাজ করে। যা রাতের বেলা ক্ষুধা মেটাতে দারুণ কার্যকর। তবে এর আসল রহস্য লুকিয়ে আছে সময়জ্ঞানে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপেলকে আপনার রাতের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন, কিন্তু সেটি যেন অবশ্যই বিছানায় যাওয়ার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট আগে খাওয়া হয়। এই সময়টা আপনার শরীরকে হজম প্রক্রিয়া শুরু করার সুযোগ দেবে, গ্যাসের ঝুঁকি কমবে এবং আপনি নিশ্চিন্তে একটি মিষ্টি ও স্বাস্থ্যকর ঘুম উপভোগ করতে পারবেন। সুতরাং, সঠিক সময়ে, পরিমিত পরিমাণে আপেল খান।