
ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে অনেক সমস্যা হয়। পা ফুলে যায়, পা ফেলতে সমস্যা হয়। গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয়। গেঁটে বাত বা গাউটের সমস্যা কিন্তু আসে ইউরিক অ্যাসিড থেকেই।

ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরের একরকম বর্জ্য। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলেই সেখান থেকে এই সমস্যা হয়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কিডনিতে পাথরের সম্ভাবনা বাড়ে। সাধারণত প্রস্রাবের মাধ্যমেই তা বাইরে বেরিয়ে যায়। বেরতে না পারলেই গাউট, কিডনিতে স্টোনের মত সমস্যা হয়।

আর তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিজেকেই সাবধানে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে বিশেষ ডায়েটও। ব্রেকফাস্ট থেকেই শুরু করুন নিয়ম মানা। ব্রেকফাস্ট ভাল করা খুব জরুরি। আর তাই ব্রেকফাস্টে একেবারে লো ফ্যাট মিল্ক, সিরিয়ালস, স্ট্রবেরি এসব খেতে পারেন। সেই সঙ্গে ব্ল্যাক কফি খান এক কাপ আর সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।

বাতের সমস্যা থাকলে দুপুরে ভাত না খাওয়াই ভাল। পরিবর্তে রুটি খান। ওট দিয়ে রুটি বানিয়ে নিন। সঙ্গে মুরগির ব্রেস্ট পিস খান ২ টুকরো। একবাটি সবজি সিদ্ধ, স্যালাড আর পারলে একবাটি টকদই। এই ভাবে লাঞ্চ সাজিয়ে নিন

রাতের জন্য এককাপ গরম দুধ রাখুন। সেই সঙ্গে ফ্রেশ স্ট্রবেরি পেলে খুবই ভাল। নইলে লাউ, টমেটোর জুস বানিয়েও কিন্তু খেতে পারেন। এতে পেট ভরবে আর ওজনও কমবে দ্রুত।

এছাড়াও এই সমস্যায় প্রোটিন মেপে খেতে হয়। তাই গাঁটের ব্যথা হলে মাশরুম, ডাল, রাজমা, পনির, সোয়াবিন এসব এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। আর খেলেও তা কিন্তু একদম মেপে খেতে হবে।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় রেড মিট, সামুদ্রিক যে কোনওখাবার, বিয়ার, ওয়াইন, ফলের রস, কেক, পেস্ট্রি, সিরিয়ালস এসব একেবারেই চলবে না। সবথেকে মারাত্মক হল ফলের রস।