
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বেশি জল পান করেছিলেন? কিংবা ডিনারের ভারী বা তরল জাতীয় খাবার বেশি খেয়েছিলেন? এক্ষেত্রে রাতে একবার হলেও বাথরুমে যেতেই হয়। কিন্তু রাতে যদি ঘুম থেকে উঠে বারবার টয়লেট যেতে হয়, তাহলে সাবধান হওয়া দরকার। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ প্রস্টেট ক্যানসারেরও হতে পারে। তাই প্রস্রাবের জন্য রাতে ঘুম থেকে উঠে বারবার বাথরুম যেতে হলে সাবধান হওয়া জরুরি। কিন্তু রাতে ঘুম থেকে উঠে কতবার পর্যন্ত প্রস্রাব করতে যাওয়া নিরাপদ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
লন্ডনের সপ্তম কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, ২৪ শতাংশ উত্তরদাতারা জানিয়েছেন, তাঁরা রাতে ঘুম থেকে উঠে কম করে ৩ বার বাথরুমে যান। যখন এসব ব্যক্তিদের ঘন ঘন টয়লেট যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তাঁদের মধ্যে ২০ শতাংশ ভেবেছিলেন যে, তাঁরা প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। এছাড়া ২৯ শতাংশ মানুষ ভেবেছিলেন বয়সজনিত কারণে এমনটা ঘটছে। বাকিদের ধারণা ছিল যে, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার বেশি তরল পান করার কারণে কিংবা রাতে ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় পান করার কারণে প্রস্রাবের বেগ তৈরি হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে বারবার টয়লেট যাওয়ার পিছনে একাধিক শারীরিক অবস্থার কারণ হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে রাতে বারবার প্রস্রাবের জন্য ঘুম থেকে উঠতে হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা প্রস্টেট ও মূত্রথলির ক্যানসারের কারণ হতে পারে। যদিও এক্ষেত্রে প্রস্রাব ত্যাগ করার সময় ব্যথা, জ্বালাভাবের সমস্যা দেখা দেয়। তাই তিনবারের বেশি টয়লেট করার জন্য রাতে ঘুম থেকে উঠলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
কিং এডওয়ার্ড সপ্তম হাসপাতালের গবেষকরা দেখেছেন যে, যে সব পুরুষেরা রাতে ঘন ঘন বাথরুম যান, তাঁদের ৫৫ শতাংশ মানুষ প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৪৩ শতাংশ পুরুষ এই উপসর্গ দেখেও চিকিৎসকদের কাছে যায় না। তবে, রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব করা ছাড়াও প্রস্টেট ক্যানসারের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। তাছাড়া ৫০ ঊর্ধ্ব পুরুষদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। আর এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। তাই এই ধরনের লক্ষণ এড়িয়ে না যাওয়াই ভাল।