
কোমর ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা এখন ঘরে ঘরে। যত দিন বাড়ছে ততই যেন এই সমস্যা বাড়ছে। এর মূল কারণ হল হাড়ের সমস্যা। ফাস্ট ফুড আর প্রক্রিয়াজাত খাবারকেই এর নেপথ্যে দায়ী করছেন চিকিৎসকেরা। আজকাল শাক-সবজি, দুধ, ফল এসব খুব কম মানুষই খান। সবার প্রথম পছন্দ থাকে ফাস্টফুড। চটজলদি হাতের সামনে যা পাওয়া যায় তাই খান। ভিটামিন ডি অধিকামশের শরীরেই পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। আর তাই যে কারণে বাড়ছে এই হাড়ের সমস্যা।

আজকাল প্যাক্টজাত মিষ্টি আর নোনতা খাবারেই অধিকাংশের মন মজেছে। যে কারণে বাড়ছে ওবেসিটির সমস্যা। সঙ্গে কমছে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতাও। আর তাই হাড় দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। সহজে ভেঙেও যাচ্ছে। যে কারণে প্রথম থেকেই তালিকা থেকে বাদ রাখুন এই সমস্ত খাবার...

সোডিয়াম এবং চিনি শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। শরীরকে দুর্বল করে দেয়। পাশাপাশি রক্তশর্করাও বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। তাই ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম পরিমাণে খান। যাতে শরীরে প্রদাহ, জ্বালা ইতিযাদি সমস্যা কম হয়।

অ্যালকোহল আর কফির ব্যবহার একেবারে সীমিত করতে হবে। অ্যালকোহলের সঙ্গে অন্য কোনও খাবার খেলে তখন সেই খাবার সঠিক ভাবে হজম হয় না। সেই সঙ্গে অ্যালকোহল আমাদের ক্যালশিয়াম শোষণে বাধা দেয়। পরিবর্তে অ্যালোকোহল নেই এমন পানীয়তে জিভকে অভ্যস্ত করুন। এতে কার্বোনেটেড কম পরিমাণে থাকে। ফলে শরীর থাকে ঝরঝরে।

অ্যাসপার্টাম হল একটি কৃত্রিম সুইটনার যা প্রায়শই মিষ্টি পানীয়তে ব্যবহার করা হয়। এর ফলে নার্ভের সমস্যা, ডিপ্রেশন, পেশীতে ক্র্যাম্প ধরা থেকে শুরু করে একাধিক সমস্যা আসে। এতে হাড়ের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। প্রাণীজ প্রোটিন অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সেখান থেকেও এই সমস্যা দেখা দেয়।

স্বাস্থ্যের জন্য ভাল ভিটামিন এ। আর এই ভিটামিন এ বেশি করে খেলে সেখান থেকেও হতে পারে একাধিক সমস্যা। ক্ষতি হয় শরীরের। গাজর, বিনস এসবের মধ্যে ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। কিন্তু এগুলো যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। পরিবর্তে রোজ পনির, ব্রকোলি এসব বেশি পরিমাণে খান। এতে হাড় শক্ত হবে।