AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Intermittent Fasting: ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে কি সত্যিই ওজন কমে? কী বলছে গবেষণা?

Intermittent Fasting: চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, এই পদ্ধতিতে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে উপোস করে থাকতে হয়। দিনে প্রায় ১৪-১৬ ঘন্টা। দিনে একবার বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে ২ বার খাওয়ার খাবার অনুমতি দেওয়া হয়। রোগা হতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে অনেকেই উপকার পেয়েছেন। অনেকে আবার বিপদেও পড়েছেন। সত্যিটা কী?

Intermittent Fasting: ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে কি সত্যিই ওজন কমে? কী বলছে গবেষণা?
| Updated on: May 06, 2025 | 12:56 PM
Share

সুন্দর, সুঠাম চেহারার অধিকারী হতে কে না ভালবাসেন! নিজের মনের মতো চেহারার অধিকারী হতে অনেকেই নানা কঠিন তপস্যা করেন। যার মধ্যে একটি হল ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। এই পদ্ধতিতেই নিজের ওজন ঝরিয়ে ফেলেছিলেন টেসলার সিইও তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কও।

কী এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং?

চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, এই পদ্ধতিতে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে উপোস করে থাকতে হয়। দিনে প্রায় ১৪-১৬ ঘন্টা। দিনে একবার বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে ২ বার খাওয়ার খাবার অনুমতি দেওয়া হয়। রোগা হতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে অনেকেই উপকার পেয়েছেন। অনেকে আবার বিপদেও পড়েছেন। সত্যিটা কী? ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করাটা কি আদৌ যুক্তি সঙ্গত? শরীরের জন্য ভাল? কী মত বিশেষজ্ঞদের?

ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুসারে গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ওজন কমাতে কার্যকর হতে পারে। কারণ এতে সামগ্রিক ক্যালোরি গ্রহণ কমে যায়।

Annals of Internal Medicine-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে ৩ দিন ৮০% কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন (৪:৩ পদ্ধতি), তারা এক বছরে গড়ে ৭.৭ কেজি ওজন কমাতে পারেন। এছাড়া, এই পদ্ধতিতে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

ওই গবেষণা অনুসারে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এর দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য উপকারিতা এখনও স্পষ্ট নয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এটি প্রদাহ কমাতে বা আয়ু বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে না। উপরন্তু, কিছু নেতিবাচক প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৪ সালের একটি সম্মেলনে উপস্থাপিত এক গবেষণায় বলা হয়, যারা দিনে মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে খাবার গ্রহণ করেন, তাদের হার্ট ডিজিজে মৃত্যুর ঝুঁকি ৯১% বেশি, তুলনায় যারা ১২-১৬ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে খাবার খান তাঁদের ঝুঁকি অনেক কম।

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এই ধরনের গবেষণার ফলাফল এখনো প্রাথমিক এবং অন্য অনেক উপাদান (যেমন জীবনযাত্রা, অন্যান্য রোগ) এই ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে।

অর্থাৎ ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ওজন কমাতে সহায়ক হলেও এর বিস্তৃত স্বাস্থ্য উপকারিতা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন। যারা এই ডায়েট শুরু করতে চান, তাদের নিজস্ব স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করা উচিত। অন্যথায় বিপদে পড়তে হতে পারে।

বুধবার উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট। সবার আগে রেজাল্ট জানতে এখনই নথিভুক্ত করে ফেলুন এই ফর্মে-