
মরশুমি ফলের উপকারিতা কখনওই শেষ হয় না। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদরাও বলেন, মরশুমি ফল খেলে একাধিক রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু যখন ওজন কমানোর প্রসঙ্গ আসে, তখন কোন ফলকে বেছে নেবেন? আজকাল সারা বছর বাজারে পাকা পেঁপে পাওয়া যায়। আপনি যদি এক সপ্তাহে দু কিলো ওজন কমাতে চান, তাহলে পাকা পেঁপে খাওয়া শুরু করুন।
পাকা পেঁপেকে সুপারফুড বলা হয়। পাকা পেঁপে খেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দূরে থাকে। তাছাড়া ওজন কমাতে সহায়ক এই ফল। পাকা পেঁপের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ একদম কম। তার উপর ভরপুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে এই ফলের মধ্যে। পাকা পেঁপে খেলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেটকে ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি ক্যালোরির পরিমাণ কমিয়ে পেট ভরাতে চান, তাহলে পাকা পেঁপে খান। আর এটাই আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
১০০ গ্রাম পাকা পেঁপের মধ্যে ৩২ ক্যালোরি রয়েছে। এছাড়াও পাকা পেঁপের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। অর্থাৎ, এই ফল ডায়েটে রাখলে যেমন ক্যালোরির গ্রহণ পরিমাণ কমবে, তেমনই কোনও পুষ্টির ঘাটতিও তৈরি হবে না। তাই এক সপ্তাহ ধরে আপনি যদি পাকা পেঁপে খান, তাহলে দু কিলো পর্যন্ত ওজন কমাতে পারেন।
ওজন কমানো ছাড়াও পাকা পেঁপের গুণ অনেক। পাকা পেঁপেতে পাপাইন নামের একটি এনজাইম রয়েছে। এটি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই ফলে রয়েছে ফাইবার। তাই পাকা পেঁপে খেলে হজমের সমস্যা হয় না। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে পাকা পেঁপে। এই ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আমাদের দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এমনকী ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
পাকা পেঁপের মধ্যে ফাইবার থাকায়, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তচাপকেও বাড়তে দেয় না। এতে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও কমায়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে চাইলে রোজ পাকা পেঁপে খান। এই ফল শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করার পাশাপাশি ত্বকের জন্যও উপকারী পাকা পেঁপে। নিখুঁত ত্বক এনে দেয় পাকা পেঁপে। ব্রণ, র্যাশ, দাগছোপ দূর করতে দারুণ উপযোগী পাকা পেঁপে। তাই পাকা পেঁপে খেলে ওজন কমানোর পাশাপাশি আপনি একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন এবং পেয়ে যাবেন উজ্জ্বল ত্বক।