
আবহাওয়ার পরিবর্তন খুবই দ্রুত ঘটছে। গত ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তারপ্রবাহে পুড়ছে বাংলা। চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরুতে সাধারণত এতটা গরমের প্রকোপ এর আগে দেখেননি বঙ্গবাসী। বেলা ১০ টার পর কিছুতেই বাড়ির বাইরে বেরনো যাচ্ছে না। ঘাম, রোদে বিপর্যস্ত জীবনযাত্রা। রোদের হল্কা এতটাই মারাত্মক যে প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোদ,ঘামে। বৃষ্টির তেমন আশা একদিন শোনাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। অবশেষে সুখবর আসছে। শুক্রবারের দুপুরের পর থেকেই আকাশের মুখ ভার। আজ বিকেলে বৃষ্টি হতে পারে এমনটাই বলা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। এই ভাবে ঠাণ্ডা-গরমে শরীর বেশি খারাপ হয়। এছাড়াও হিট স্ট্রোকে প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই হিট ওয়েভে মৃত্যুর খবরও এসেছে। গরম থেকে সোজা এসির মধ্যে প্রবেশ করলে এই সম্ভাবনা আরও বেশি বাড়ে।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ
রোদে, ঘামে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। এতে শরীর তার আর্দ্রতা হারায়। শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে অতিরিক্ত জল আর নুন বেরিয়ে যায়। যাঁদের উচিচরক্তচাপ রয়েছে এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
হিট স্ট্রোকের ঠিক আগে তাপ, ক্লান্তিতে একাধিক লক্ষণ দেখা যায় শরীরে-
মাথা ব্যথা
বমি বমি ভাব
মাথা ঘোরা
দুর্বলতা
বিরক্তি
বার বার তেষ্টা
প্রচুর পরিমাণে ঘাম হওয়া
শরীর ভীষণ গরম থাকা
প্রস্রাব পরিমাণ মতো না হওয়া
আর তাই যা কিছু প্রাথমিক কর্তব্য
বেশি সময় ধরে রোদে ঘোরাঘুরি হলে আগে কোন ছায়া খুঁজে দাঁড়ান। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নিজেকে ঠান্ডা করে তবে অন্য কোথাও যান। ছায়াতে বসে কিছুক্ষণ জল খান। চেষ্টা করবেন ঠান্ডা জল খেতে। রাস্তায় রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকলে কোল্ডড্রিংক বা একদম ঠাণ্ডা জল কিনে খাবেন না। শরীরের তাপমাত্রা যতক্ষণ পর্যন্ত না স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও কাজ করবেন না। শরীর একটু ঠান্ডা হলে সেইদিনটা চেষ্টা করুন বিশ্রাম নিতে।
হিট স্ট্রোকে হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। শরীর নিজেকে ঠাণ্ডা রাখতে পারে না কোনওভাবেই। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে তাপমাত্রা ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইটে পৌঁছে যায়। এই অবস্থায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নী পেলে গুরুতর শরীর খারাপ হতে পারে।
বাইরে থেকে ফিরে যদি হঠাৎ ঝাপসা দেখেন, শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, প্রচুর ঘাম হয়, অসংলগ্ন কথাবার্তা এরকম উপসর্গ থাকে তাহলে দেরী না করে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।