
গরমের দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। সকাল ৭টা থেকেই চড়া রোদ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে। এমন অবস্থায় মর্নিং ওয়াক করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আবার সন্ধেবেলা হাঁটতে বেরোলেও দর দর ঘাম হচ্ছে। জিমে গিয়ে এসিতে ওয়ার্কআউট করাই যায়। কিন্তু গরমের ভয়ে শরীরচর্চা থেকেও মুখ ফিরিয়েছেন অনেক জনই। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে ব্যায়াম করা জরুরি। অন্তত হালকা ব্যায়াম করতেই হবে। আর তার সঙ্গে ডায়েটের উপর জোর দিতে হবে। এই গরমে পুরোদমে ব্যায়াম না করতে পারলেও গ্রীষ্মকালীন সবজি খেয়ে ওজন কমাতে পারেন। গরমের কোন কোন আনাজপাতি ওজন কমাতে সহায়ক, দেখে নিন।
শসা: রিফ্রেশিং ও হাইড্রেটিং সবজির তালিকায় রয়েছে শসা। শসার মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি এবং ক্যালোরি নেই বললেই চলে। শসা খেলে খিদে কম পাবে। কাঁচা শসা দিনের যে কোনও সময় খেতে পারেন। স্যালাদ, রায়তা হিসেবেও খেতে পারেন শসা। আবার শসা দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে খেলেও মেদ ঝরবে।
লাউ: গরমে পেটকে ঠান্ডা রাখা থেকে শুরু করে ওজন কমাতে সহায়ক লাউ। এই সবজির মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং জলের পরিমাণ অনেক বেশি। পাশাপাশি লাউয়ের মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা ওজন কমাতে সহায়ক। খালি পেটের লাউয়ের রস খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে। এছাড়াও লাউয়ের তরকারি, ঝোল বানিয়ে খেতে পারেন।
ঢ্যাঁড়শ: ফাইবারের ভরপুর ঢ্যাঁড়শ। এই আনাজের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণও কম। রক্তে শর্করার মাত্রা, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সহায়ক এই সবজি। ঢ্যাঁড়শ সেদ্ধ কিংবা তরকারি বানিয়ে খান, এই সবজি ওজন কমাতে উপযোগী।
করলা: তেঁতো স্বাদের জন্য অনেকেই করলা এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এই সবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি মেদ ঝরাতে উপযোগী উচ্ছে-করলা। ডায়াবেটিসের রোগীরা ওজন ও সুগার লেভেলকে বশে রাখতে অবশ্যই করলাকে রোজের পাতে রাখুন।
ঝিঙে: গরম পড়লেই বাজারে দেখা মেলে ঝিঙের। এই আনাজেও ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাছাড়া কার্বসও খুব সীমিত পরিমাণে রয়েছে ঝিঙের মধ্যে। তবে, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ এই গ্রীষ্মকালীন সবজি। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের রোজের ডায়েটে রাখতে পারেন ঝিঙেকে।