
আজকাল জীবনযাত্রা এমনটাই যে শরীরে একাধিক সমস্যা এসে হাজির হচ্ছে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল থেকে শুরু করে ট্রাইগ্লিসারাইড… কী নেই। কোলেস্টেলের এখন আর কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সেই আসছে এই সমস্যা। শুধু তাই নয়। এখন মানুষের কাজের ধরণ বদলে গিয়েছে। এক জায়গায় একটানা বসে কাজ করে যেতে হয়, যে কারণে শরীরে বিভিন্ন রোগ জাঁকিয়ে বসে। কোলেস্টেরল বাড়লে সেখান থেকে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এছাড়াও হাই কোলেস্টেরল ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজের সঙ্গে যুক্ত।
শরীরে ভাল-মন্দ এই দুই রকম কোলেস্টেরল থাকে। আর খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। যে কারণে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত রক্তপরীক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাবার আর নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকেরা সব সময় ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে ডায়েটও মেনে চলতে হবে। তবেই শরীর থাকবে সুস্থ আর কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
প্রতিদিন যে কোনও একটা ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল খান। পাতিলেবু, মোসাম্বি, কমলালেবু যে কোনও একটা খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে সেই সঙ্গে একাধিক শারীরিক সমস্যা থেকেও দূরে থাকা যাবে। শীতে কমলালেবু, আঙুর এসব প্রচুর পাওয়া যায়। রোজকার ডায়েটে এই দুটি ফল রাখতে ভুলবেন না
রোজ একটা করে আপেল খেতে পারলেও খুব ভাল। আপেলের মধ্যে থাকে পেকটিন। যা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আপেল আমাদের পরিপাকতন্ত্রের উপরও প্রভাব ফেলে যে কারণে হজম ভাল হয়
শীতে এখন আমাদের দেশেও প্রচুর স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। এর মধ্যে ফাইবার থাকে অনেকটা পরিমাণে। এছাড়াও থাকে ভিটামিন সি। তাই ব্ল্যাকবেরি, ব্লু বেরি যে কোনও একটা ফল খান নিয়ম করে। এতে শরীর ভাল থাকবে
আনারসের মধ্যে থাকে ব্রোমোলিন। যা এক রকম এনজাইম এবং তা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতেও তা সাহায্য করে