ভুলো মনে কাজ করলে সেটাই সাফল্য আসে না। কিন্তু ছোট ছোট কথাও যদি মনে না রাখতে পারেন, তাহলে সাবধান হওয়া জরুরি। হতে পারে আপনি ধীরে ধীরে ডিমেনশিয়ার দিকে এগোচ্ছেন। ২০১৯ সালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৩৮ লক্ষ মানুষ ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। ল্যানসেট পত্রিকার তথ্য বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটাই ভারতে প্রায় ১ কোটি ১৪ লক্ষ্যে গিয়ে দাঁড়াবে। তাই সাবধান না হলেই বিপদ। তবে, জাপানের সাম্প্রতিকতম গবেষণা বলছে, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত চিজ় খাওয়া জরুরি।
বয়স বাড়লে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। কিন্তু আপনি যদি নিজের নাম, ঠিকানা ভুলে যান, কাছের মানুষদের চিনতে পর্যন্ত না পারেন, এটা মোটেও স্বাভাবিক নয়। আংশিক বা সামগ্রিকভাবে স্মৃতিশক্তি লোপ পেলে, ভাবনাচিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে সমস্যা। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ডিমেনশিয়া বলা হয়। মূলত মস্তিষ্কে স্নায়ুর জটিলতার কারণেই এই রোগ দেখা দেয়। ডিমেনশিয়ার বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। তার মধ্যে দুরারোগ্য হল পার্কিনসন্স বা অ্যালঝাইমার্স। আর এটাই সবচেয়ে সাধারণ, যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়।
ডিমেনশিয়ার কোনও স্থায়ী সমাধান নেই। কিন্তু মানসিক চাপ কমিয়ে, স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া ও শরীরচর্চার মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। তবে, সম্প্রতি জাপানের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত চিজ় খেলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমানো যায়। গবেষণায় ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ১,৫০০ জনের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, যাঁরা চিজ় খান, তাঁদের জ্ঞানীয় শক্তি অন্যদের তুলনায় ভাল।
নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, দুগ্ধজাত পণ্য ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। তাছাড়া ওই গবেষণায় দশ জনের মধ্যে আট জনের খাদ্যতালিকায় চিজ় ছিল, যা তাঁদের কগনিটিভ কার্যকারিতাকে উন্নত করতে সাহায্য করেছে। ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমালেও নিয়মিত চিজ় খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত চিজ় খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে এবং রক্তে শর্করার মাত্রারও হেরফের হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।