Endometriosis: এন্ডোমেট্রিওসিস কি নিরাময়যোগ্য? মেয়েদের উপর কতটা প্রভাবই বা পড়ে জানুন

Endometriosis Symptoms: এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। তবে এরকমও নয় যে যার ব্যথা বেশি হবে তার সমস্যা তীব্র, অন্যদের কম। পেলভিকে ব্যথা এন্ডোমেট্রিওসিসের প্রাথমিক লক্ষণ

Endometriosis: এন্ডোমেট্রিওসিস কি নিরাময়যোগ্য? মেয়েদের উপর কতটা প্রভাবই বা পড়ে জানুন
কী ভাবে বুঝবেন যে আপনি এই সমস্যার শিকার

| Edited By: রেশমী প্রামাণিক

May 03, 2023 | 4:03 PM

মহিলাদের শরীরে বিভিন্ন চক্র চলতে থাকে যে কারণে জৈবিক ও শারীরিক পরিবর্তন লেগে থাকে। মহিলাদের ঋতুস্রাব সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক একটি ঘটনা। এর জন্য শরীরের বিভিন্ন হরমোনের উপরও প্রভাব পড়ে এবং হরমোন সেই ভাবে কাজ করে। আর এই চক্রের প্রবাহ নারীদেহের বিভিন্ন অঙ্গের উপরও পড়ে। সেখান থেকে নানা সমস্যা আসে। তেমনই একটি কম পরিচিত কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী অসুখ হল এন্ডোমেট্রিওসিস। আগে এই সমস্যার কথা কম শোনা যেত, এখন যেহেতু মেয়েরা সচেতন তাই এই সমস্যার কথা অনেক বেশি শোনা যায়। কিছু দিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল মহিলারা এই সমস্যার লক্ষণ গুলো নিজেরাই প্রাথমিক ভাবে বুঝতে পারেন না। পেলভিক বা যোনিপথে ব্যথা সব সময় স্বাভাবিক নয়। এই ব্যথা কিন্তু এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণ।

এন্ডোমেট্রিওসিস কি?

এন্ডোমেট্রিওসিস হল জরায়ুর বাইরে এন্ডোমেট্রিয়াল সদৃশ টিস্যু। যা জরায়ুর অনুরূপ। আর এই টিস্যু স্তরে স্তরে বাড়তে শুরু করে, সেখান থেকে ডিম্বাশয়, ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং জরায়ুর অঞ্চলে জড়িয়ে যায়। সব সময় যে এই সমস্যা থেকে প্রাণহানির ঝুঁকি থাকে তা একেবারেই নয় বরং নানা রকম সমস্যা হয়। রোজকার স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে।

এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। তবে এরকমও নয় যে যার ব্যথা বেশি হবে তার সমস্যা তীব্র, অন্যদের কম। পেলভিকে ব্যথা এন্ডোমেট্রিওসিসের প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়াও পিরিয়ডের সময় প্রবল পেটে ব্যথা, রক্তপাত, ক্র্যাম্প, পিরিয়ড এক সপ্তাহ স্থায়ী হলে, যৌন মিলনের সময় ব্যথা হলে, নিম্নাঙ্গে ব্যথা হলে তা এন্ড্রোমেট্রিওসিসের প্রাথমিক লক্ষণ বলে ধরে নেওয়া হয়।

এন্ডোমেট্রিওসিসের স্থায়ী কোনও প্রতিকার নেই। তবে নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিরোধ সম্ভব। এছাড়াও লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এছাড়াও এন্ডোমেট্রিওসিসের ক্ষেত্রে হরমোনের ওষুধও দেওয়া হয়। ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বাড়লে সমস্যা বাড়ে। যে কারণে হরমোন থেরাপির মাধ্যমে শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলা হয়।