AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ears Health: সংক্রমণ থেকে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি কতটা? চিকিৎসকের মুখ থেকে জানুন…

Eardrum Care: অনেক সময় জোরে আওয়াজ কিংবা কানের আশপাশে আঘাতের কারণে আশঙ্কা থাকে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার।

Ears Health: সংক্রমণ থেকে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি কতটা?  চিকিৎসকের মুখ থেকে জানুন...
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 2:23 PM
Share

একটু কান সড়সড় করে উঠলেই কানে তুলোর বাড বা কাঠি দিয়ে খোঁচানোর অভ্যাস রয়েছে অনেকের। চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাস আমাদের কানের মারাত্মক ক্ষতি করে। অনেক সময় জোরে আওয়াজ কিংবা কানের আশপাশে আঘাতের কারণে আশঙ্কা থাকে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার। কমবেশি অনেকেই এই কানের পর্দা ফেটে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। কানের পর্দা যদি ফেটে যায়, তাহলে তাৎক্ষণিক কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সেটাও অনেকেই জানেন না। এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা ইএনটি বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক সৌমিত্র কুমারের সঙ্গে।

প্রশ্ন: কানের পর্দা কেন ফেটে যায়?

মূলত দু’টো কারণে আমাদের কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। একটা হল ‘অ্যাকিউট ট্রমা’। কানে আঘাত লাগলে, কানের আশপাশের অংশে থাপ্পড় লাগলে বা জোরে শব্দ হওয়ার কারণে অনেক সময় কানের পর্দা ফেটে যায়। একেই ‘অ্যাকিউট ট্রমা’ বলে। কানে ক্রমাগত ইনফেকশন হওয়ার ফলেও পর্দা ফেটে যায়। তবে এটা অ্যাকিউট নয়। এতে কানের পর্দা পুনরায় জোড়া লাগানোর জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

প্রশ্ন: কানের পর্দা ফেটে গেলে প্রাথমিক করণীয় কী?

‘অ্যাকিউট ট্রমা’র ক্ষেত্রে, কানের পর্দা ফেটে গেলে সাধারণত কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই পর্দা পুরোপুরি জুড়ে যাবে, যদি কানের পর্দায় ড্রপ, তেল, জল ইত্যাদি না দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কানকে সবসময় শুকনো রাখতে হবে। দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যে কানের পর্দা নিজে থেকেই জুড়ে যায়।

প্রশ্ন: কানে সংক্রমণ হলে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা কতটা?

কানে ক্রমাগত সংক্রমণ হতে থাকলে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। এই অবস্থার যদি চিকিৎসা না করা হয় অথবা ৩ মাস পেরিয়ে যায়, তখন কানের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তখন অস্ত্রোপচার করে কানের পর্দা জোড়া লাগাতে হয়। অস্ত্রোপচারে কানের পর্দার নীচে একটি জিনিস লাগিয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে কানের পর্দা আবার জুড়ে যায়। এই অস্ত্রোপচার ৬০ বছর বয়সও অবধি করা যায়। তারপর আর সেটাও সম্ভব হয় না। কারণ একটা বয়সের পর কানের পর্দা জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। তাই এটা যখনই ধরা পড়বে, তখনই এই অস্ত্রোপচার করিয়ে নেওয়া উচিত। অবস্থার অবনতি ঘটলে এই সমস্যা আর সেরে ওঠে না।

প্রশ্ন: কানে বারবার সংক্রমণ হওয়া কতটা ক্ষতিকারক?

কানের পর্দায় ফুটো থাকলে কানে বারবার ইনফেকশন হবে। তখন কান দিয়ে জল গড়াবে। কান দিয়ে পুঁজ গড়াবে। এখানে প্রথমত কানটা শুকনো রাখতে হবে। ধীরে-ধীরে শুকিয়ে যাবে। কিন্তু এরপরও যদি অবস্থার উন্নতি না ঘটে, তাহলে ইয়ার ড্রপ দেওয়া হয়। এই ড্রপের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক সরাসরি কানের মধ্যে যায়। এরপরও যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এরপরও যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে অপারেশন ছাড়া আর কোনও গতি থাকে না। তবে এই ক্ষেত্রে প্রথমেই চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া দরকার।

প্রশ্ন: কানে ব্যথা হলে প্রাথমিক করণীয় কী?

কানে ব্যথা হলেই প্রথমে ড্রপ ব্যবহার করবেন না। কানের পর্দা না দেখে কানে ড্রপ দেওয়া উচিত নয়। কানের পর্দায় যদি ফুটো থাকে, তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কানের পর্দা যদি ফুলে থাকে এবং সেই কারণে যদি কানে ব্যথা, হয় তাহলেও ড্রপ ব্যবহার করবেন না। কানের পর্দা ফুলে থাকা অবস্থায় যদি ড্রপ ব্যবহার করেন, তাহলে কানের পর্দা আরও নরম হয়ে যাবে এবং সেটা ফেটে যাবে। তাই কানে ব্যথা হলে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। অনেক সময় কানে ময়লা জমলে, কানে ইনফেকশন হলে কানে ব্যথা হয়। প্রাথমিকভাবে, অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার বদলে আপনি ব্যথার ওষুধ প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে কানে ব্যথা হয়েছে বলে গরম সেঁক বা রসুন তেলের ব্যবহার একদম নয়।