বর্তমান সময়ে ফ্যাটি লিভার একটি অতিপরিচিত একটি রোগ হয়ে গিয়েছে। ডায়াবেটিসের মতোই বিষের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই মারাত্মক সমস্যা। ফ্য়াটি লিভার নিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। কাদের হয়, কেন হয়, কী খেলে ফ্যাটি লিভার হয়, ফ্যাটি লিভার হলে কী কী খাবেন না, এই রোগ কতটা গুরুতর এসব প্রশ্নের উত্তর অধিকাংশ মানুষ জানেন না। অনেকেরই ধারণা, অত্যাধিক মাত্রায় মদ্যপান করলেই ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত হয়। ফ্যাটি লিভারে প্রভাবে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে কার্যক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। তাতেই শুরু শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। সঠিক সময়ে এর চিকিত্সা না করালে তা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি সিরোসিসের মতো সমস্যা তৈরি হয়ে প্রাণহানিও ঘটতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা স্থূলতা রোগে আক্রান্ত বা ওবেসিটি থাকলে, ডায়াবেটিসের রোগী হলে, হাই কোলেস্টেরল থাকলে, পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত ডায়েট ও অতিরিক্ত মদ্যপান করে থাকলে তাদের ফ্যাটি লিভারের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কয়েকটি খাবার রয়েছে, যেগুলি ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। সেগুলি যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। সেই খাবারগুলি কী কী, তা জেনে নিন…
মদ্যপান- অ্যালকোহল হল ফ্যাটি লিভার রোগীর জন্য বিষ। মদ্যপান নিয়ন্ত্রণে না আনলে তা ক্যানসারে পরিণত হয়ে যেতে পারে। লিভারের সমস্যার পাশাপাশি অন্যান্য রোগের বাসা বাঁধতে শুরু করে।
চিনি, মিষ্টি: ক্যান্ডি, পেস্ট্রি, কুকিজ, সোডা, কেক, ফলের রস, মিষ্টি থেকে দূরে থাকুন। যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের স্বাভাবিকভাবেই লিভারে চর্বি জমার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে সুগারের রোগীরাও মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
ভাজাভুজি: তেলে ভাজা, বেশি মাত্রায় মশলা দেওয়া খাবার স্বাস্থ্যের জন্য অনুপযুক্ত। এর ফলে শরীরে বেশি করে চর্বি ও ক্যালোরি জমতে থাকে।
নুন: রান্না করা খাবারে নুন তো থাকেই, তারপরেও যদি নুন খাওয়ার অভ্যেস থাকে তাহলে তা মারাত্মক ভুল।অত্যাধিক মাত্রায় নুন উচ্চ মাত্রায় রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে। প্রতিদিন ২৩০০ মিলিগ্রামের কম সোডিয়াম গ্রহণ করা শরীরের জন্য উপযুক্ত। উচ্চ রক্তচাপ রয়েছ যাদেক তারা প্রতিদিন নুনের মাত্রা ১৩০০ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করবেন না।
সাদা খাবার: সেদ্ধ ভাত,পাস্তা, ময়দা, সাদা পাউরুটি খাবেন না। এতে ফাইবার থাকে ক। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ গোটা শস্যের থেকে বেশি কম খাওয়া উচিত।
রেড মিট: প্যাকেটজাত মাংস , রেড মিটে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকায় ফ্যাটি লিভারের রোগীরা এইজাতীয় খাবার একেবারেই খাবেন না।