জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয় যখন আপনি মা হন। এখন বড় দায়িত্ব। শিশুর যত্ন থেকে শুরু করে তাকে মানুষ করে তোলা। মায়েদের কাজ অনেক। কিন্তু নতুন মা হয়েছেন বলে নিজের যত্ন নেবেন না, এই ভুল একদম নয়। শিশুকে সুস্থ রাখতে গেলে আপনাকেও সুস্থ থাকতে হবে। আমরা প্রায়শই দেখি বলিউড অভিনেত্রীরা সন্তানের জন্ম দিচ্ছে, আবার কিছুদিন পর থেকে কাজে ফিরছে। শুধু বলিউড কেন, আমাদের সমাজে তো ওয়ার্কিং মাদারের সংখ্যাটা কম নয়। আর আপনিও যদি একজন ওয়ার্কিং মাদার হন তাহলে আরও খেয়াল রাখতে হবে নিজের। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মায়েদের শরীরেও পুষ্টির (Nutrition) দরকার হয়। তা না হলেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আর আপনার সন্তান যদি স্তন্যপান (Breast Feeding) করে, তাহলে এই ক্ষেত্রে আরও সচেতন হওয়া দরকার আপনার। প্রসূতির পর কীভাবে নিজের যত্ন নেবেন, দেখে নিন…
সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ- সন্তানের জন্মের পর থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সব মায়েরাই। এমনকি নিজের খাওয়ার সময়টুকুরও ঠিক থাকে না। কিন্তু এই ভুল করবেন না। সঠিক সময়ে খাবার খান। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে কেটোসিসের পরিমাণ বাড়ে আর তার সঙ্গে ক্যালোরির ঘাটতি দেখা দেয়। যে সব মায়েরা স্তনপান করান, তাঁদের শরীরে এই মুহূর্তে ২১০০ কিলো ক্যালোরির প্রয়োজন, যা একজন স্বাভাবিক মহিলার চেয়ে কমপক্ষে ৪০০ থেকে ৫০০ কিলো বেশি।
সুষম আহার গ্রহণ করুন- কী খাচ্ছেন সেটার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। খাবার প্লেটে এক তৃতীয়াংশ সবুজ শাকসবজি, এক তৃতীয়াংশ প্রোটিন এবং এক তৃতীয়াংশ কার্বোহাইড্রেট রাখুন। বেশি করে শাকসবজি ও ফল খান। এগুলো আপনার শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করবে, পাশাপাশি দুধের গুণগত মান উন্নত করবে। এছাড়াও ঘি, মাংস, ডিম, আটার তৈরি জিনিস খান। সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা যাতে পূরণ হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। তবেই আপনি কাজ করার শক্তি ফিরে পাবেন।
শরীরচর্চা করুন- গর্ভাবস্থায় অনেক ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন। এবার সময় এসেছে সেই ওজন কমানোর। সন্তানের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিজের ওপরও একটু নজর দিন। জিমে গিয়ে কসরত করার প্রয়োজন নেই। বাড়িতেই শরীরচর্চা করুন। যোগাসন করুন।
এই সময় কী-কী এড়িয়ে চলবেন?
কফি, কোলা ইত্যাদিতে থাকা ক্যাফেইন মা থেকে শিশুর কাছে অল্প পরিমাণে চলে যায়। যদি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে এটি মায়ের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। এছাড়াও এর থেকে শিশুদের মধ্যে দুর্বল ঘুম, খিঁচুনি ইত্যাদির সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর পাশাপাশি অ্যালকোহল ও ধূমপান এড়িয়ে চলুন।