হাড়ের (Bones) যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে আমরা বেশীরভাগ সময়ই ভীষণ উদাসীন। কিন্তু হাড়ই যে আমাদের শরীরের ভিত তা আমরা ভুলে যাই। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের নানান সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি এই সমস্যা তীব্র হলে সারাজীবনের মতো পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অবধি থেকে যায়। এছাড়াও অস্টিওপোরেসিসের (Osteoporosis) মতো একাধিক হাড়ের সমস্যার শিকার হন মানুষজন। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসকের কাছে ছুটি আমরা। তবে এই সমস্যার সমাধান যে আমাদের হাতেই রয়েছে তা অনেকেরই অজানা। কয়েকটি ঘরোয়া উপায়েই হাড়ের স্বাস্থ্যের (Bone Health) খেয়াল রাখা সম্ভব। তার জন্য কী করতে হবে আসুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক…
হাড়ের মূল সমস্যাই হল অস্টিওপোরেসিস। এতে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। শুধু তাই নয় হাড় ক্রমশ ভঙ্গুর হতে থাকে। এমনকী সামান্য হাঁচি-কাশিতেও হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্যার পুরোপুরি সমাধান সম্ভব নয়। তবে নিয়মিত যোগব্যায়াম, ভিটামিন ও ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার খেয়ে হাড় মজবুত করা যায়।
ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার:
ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম দুটিই হাড়ের জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয়। মূলত ভিটামিন ডি-এর অভাবেই অস্টিওপোরেসিস হয়। এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে আপনাকে অবশ্যই পাতে রাখতে হবে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার। ডিমের কুসুম, সলমন মাছ, চিজ, মাসরুম জাতীয় খাবার খান। এতে ভিটামিন ডি রয়েছে। অন্যদিকে মাছ, দুধ এই সব খাবারে অধিক পরিমাণে ক্যালশিয়াম রয়েছে। এছাড়াও শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণে সোয়াবিন ভীষণ উপযোগী। এই ধরনের খাবার গুলি পাতে রাখুন। টক জাতীয় ফলে ভিটামিন সি ও সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে যা শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
সূর্যের আলোয় দাঁড়ান:
ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস হল সূর্য। তাই হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে রোজ অন্তত ৫ মিনিট গোটা শরীরে সূর্যের আলো লাগান।
যোগব্যায়াম করুন:
যোগাসনের কোনও বিকল্প নেই। হাড়ের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। এতে হাড় মজবুত হয় এবং হাড়ের কর্মক্ষমতা বাড়ে।
কাঁচা নুন বর্জন করুন:
খাওয়ার পাতে কাঁচা নুন খাওয়ার বদ অভ্যেস থাকে অনেকের। এই কাঁচা নুন হাড় ক্ষয় করে। তাই কাঁচা নুন একেবারে খাওয়া চলবে না।
বেশী কফি নয়:
কফি কিন্তু শরীর থেকে দ্রুত ক্যালশিয়ামকে বেড় করে দেয়। তাই হাড়ের যত্ন নিতে একেবারেই বেশী কফি খাওয়া চলবে না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।