খাওয়া-দাওয়ার পর্ব সেই শুরু হয়েছে পুজো থেকে। আর তারপর থেকে আড্ডা, রিইউনিয়ন এসব লেগেই রয়েছে। সদ্য পেরলো ভাইফোঁটা। উৎসবের আমেজ থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে এসে এবার কাজে ফেরার পালা। এই কয়েকদিন দেদার খাওয়া দাওয়া হয়েছে। আর সেই তালিকায় ইলিশ, চিংড়ি, মাটন, পমফ্রেট, চিকেন থেকে শুরু করে বিরিয়ানি সবই ছিল। পাশাপাশি মিষ্টিও প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হয়েছে। লুচি, পেস্ট্রি, প্যাটিস এসব তো ছিলই। এই চিনি, ময়দা আর নুন আমাদের শরীরের জন্য সবচাইতে বেশি ক্ষতিকারক। চিনি, ময়দার মতো রিফাইন্ড খাবার থেকেই শরীরে বেশি পরিমাণে টক্সিন জমা হয়। আর এর থেকে প্রভাব পড়ে অন্ত্রের উপরেও। ৎউসবের দিনগুলোতে অধিকাংশ মানুষই বাইরের খাবার খান। খুব কম বাড়িতেই এই কয়েকদিন রান্না হয়। প্রতিদিন বাইরের খাবার খেলে পেটের সমস্যা হতে বাধ্য।এছাড়াও এই সময় আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। তারও প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। আর তাই পেট সুস্থ রাখাও কিন্তু জরুরি।
এই কয়েকদিন পেটের উপর দিয়ে যথেচ্ছ অত্যাচার হয়। তাই শরীরকে যেমন বিশ্রাম দিতে হয় তেমনই প্লেটকেও বিশ্রাম দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। নইলে পেট বিগড়ে যেতে বাধ্য। আর তাই পুষ্টিবিদ দিচ্ছেন বিশেষ পরামর্শ। এই নিয়ম মেনে খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকবেই।
জল বেশি করে খান- নিয়মিত ভাবে বেশি পরিমাণে জল খেতেই হবে। কারণ জল খেলে তবেই হাইড্রেটেড থাকা যায়। এছাড়াও যদি মনে হয় খাবার পর অস্বস্তি হচ্ছে বা বেশি খাওয়া হয়ে গিয়েছে তাহলে একগ্লাস ইষদুষ্ণ জল খান। এছাড়াও খাবার আগে এই ইষদুষ্ণ জলের সঙ্গে এক চিমটে নুনও মিশিয়ে নিতে পারেন। এছাড়াও তরমুজ, টমেটো, লেটুস এসব বেশি করে খান। অনেকেই খাওয়ার পর ডাবের জল খান। তাও খুব ভাল অভ্যাস।
নুন জল – পেট পরিষ্কার রাখতে নুন জলও ভাল কাজ করে। এক্ষেত্রে সবচাইতে ভাল হল হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট। সকালে উঠে খালি পেটে একগ্লাস এই জল খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে এই নুন জল খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে কিন্তু ভুলবেন না। আর নুন জলে সবচেয়ে ভাল কোলন পরিষ্কার থাকে।
ফাইবার বেশি করে খান- পাকস্থলি আর অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে চাইলে ফাইবার বেশি করে খেতে হবে। ফল, শাকসবজি, নানা রকম বীজ এসবের মধ্যে সবচাইতে বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর তাই রোজকার ডায়েটে অবশ্যই রাখুন।
স্মুদি- কোলন পরিষ্কার রাখতে সবচাইতে ভাল হল স্মুদি। ব্রেকফাস্টে বানিয়ে নিন নানা রকম স্মুদি। ওটস, কলা, বাদাম, দুধ, পিনাট বাটার, আপেল, খেজুর, সবেদা আর নানা রকম বীজ ব্যবহার করে বানিয়ে নিতে পারেন। বাড়িতে বানানো মুসাম্বির জুস রোজ খান এক গ্লাস করে। এতে অন্ত্র থাকবে পরিষ্কার। এছাড়াও এই ফলের রসের মধ্যে থাকে ভিটামিন সি। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল।
প্রোবায়োটিকস- ডায়েটে প্রোবায়োটিকস অবশ্যি রাখবেন। এর মধ্যে প্রধান হল টকদই। রোজ একবাটি করে টকদই খান। এছাড়াও ভাতের বা রুটির সঙ্গে আচার, চাটনি এসব খাওয়াও কিন্তু খুব ভাল অভ্যাস। এই খাবারগুলি অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে।