রান্না (Cooking) একটা শিল্প (Art)। এই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তবে অনেকেরঅ হয়তো জানা নেই, রান্না একটা বিজ্ঞানও। রান্নাঘরে (Kitchen) উপস্থিত সমস্ত মশলা বা ভেষজগুলির নিজস্ব স্বতন্ত্র উপকারিতা রয়েছে। একটির সঙ্গে অপরের যুগবন্দিতেই বাড়ে স্বাদ। ঠিক তেমনই অনেক কিছু এক সঙ্গে খেলে শক্তি বাড়ে, আবার কিছু জিনিসের সংমিশ্রণ খাবারকে বিষাক্ত করে তুলতে পারে।
অনেক খাবার অতিরিক্ত রান্না করলে তাদের পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু জানেন কিএমন কিছু -কিছু জিনিস রান্না বা অতিরিক্ত রান্না করলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। কিছু জিনিস কাঁচা স্বাদের ভালো, আবার কিছু জিনিস রান্না বা অতিরিক্ত রান্না করার পরে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। আসুন জেনে নিই কোন খাবার রান্না করলে তাদের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং সেগুলো বিষাক্ত হয়ে যায়।
মধু: মধু চিনির একটি দুর্দান্ত বিকল্প, তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে রান্না করার সময় এটি ব্যবহার করতে হবে। কাঁচা মধুতে রয়েছে চিনি, পানি, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, বি, ডি, ই এবং কে। এছাড়া আরও অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে এতে। মধু গরম করলে এর গুণাগুণ নষ্ট হয় এবং এনজাইম কমে যায়। এছাড়াও, মধুতে তাপ লাগলে শুধু পুষ্টিগুণই নষ্ট হয় না, সঙ্গে এটি বিষাক্ত পদার্থে পরিণত হয়। যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
ব্রকলি: ব্রকলি শরীরের জন্য ভাল। কিন্তু এটিকে রান্না করে খেলে চলবে না। ব্রোকলি কাঁচা খাওয়াই ভাল। কারণ এটি সেদ্ধ করলে জলে দ্রবণীয় ভিটামিন, যেমন- ভিটামিন সি এবং ফোলেট দূর হয়। ফলে আর কোনও পুষ্টিই থাকে না।
বাদাম: বাদাম সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয়।কিন্তু আপনি কি জানেন যে বাদাম কখনই ভাজা উচিত নয় কারণ এটি এতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের গুণাগুণ হ্রাস পায়। বাদামের আরও উপকার পেতে হলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে খান। কিন্তু রান্নায় একেবারেই ব্যবহার করবেন না।
ক্যাপসিকাম: ক্যাপসিকাম এমন একটি সবজি যা বেশি রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা জলে দ্রবণীয় পুষ্টি উপাদান। এই কারণেই তাপের সংস্পর্শে এলে এটি শক্তি হারায়।
বিটরুট: বিটরুটে ভিটামিন সি, ফোলেট এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা উচ্চ তাপে রান্না করলে নষ্ট হয়ে যায়। এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা এটি কাঁচা খাওয়া বা এর রস পান করার পরামর্শ দেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।