আজকাল আম থেকে আমপান্না সবই অনলাইনে পাওয়া যায়। এমন অনেক পানীয়ই রয়েছে, যার স্বাদ আমাদের চেনা। অথচ, সেগুলো আর বাড়িতে বানিয়ে খাওয়া হয় না। এক ক্লিকে এখন সব পাওয়া যায়। এমনকি ঘরে বসে থেকে পাওয়া যায় ডাবের জলও। আগে ডাবের জল খেতে গেলে বাড়ির বাইরে বেরতেই হবে। আর নাহলে বাজার থেকে ফেরার সময় দু’টো ডাব কিনে নিয়ে আসতেন। ব্যাগ ভারী হত। আর বাড়িতে ডাব কাটা আর শাঁস ছাড়ানোর ঝক্কি পোহাতো হয়। এখন আর সেসব নেই বললেই চলে। ডাব কেটে তার জল বোতলে ভরে ভর্তি হচ্ছে বাজারে। কিন্তু সেগুলো খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?
ডাবের জলের মধ্যে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার রয়েছে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে ডাবের জল। কিন্তু সেই ডাবের জল যদি প্লাস্টিকের বোতলে ভরে বিক্রি হয়, সেটা কিনে খাওয়া কি উচিত? বোতলজাত ডাবের জলের দাম ৩০ থেকে ৮০ টাকা। স্বাদ, গন্ধ পুরো তাজা ডাবের জলের মতোই। কিন্তু পুষ্টিগুণ কতটা, এটাই হল আসল জানার বিষয়।
ডাব কেটে সঙ্গে সঙ্গে জল খেয়ে নেওয়া উচিত। স্টিল বা তামা, রুপোর গ্লাসে ডাবের জল ফেলে রাখলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ডাবের জলে থাকা খনিজ পাত্রের সংস্পর্শে এসে বিষক্রিয়া তৈরি হয়। সেখানেই প্লাস্টিকের বোতলে দিনের পর দিন বন্দি থাকে ডাবের জল। আর প্লাস্টিক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকারক এটা কমবেশি সকলেরই জানা। সুতরাং, এখানেই পিছিয়ে গেল প্যাকেটজাত ডাবের জল।
ডাবের জলের মধ্যে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ রয়েছে। এগুলো দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আপনি যখনই তাজা ডাবের জল খাবেন, শরীরে কাজ করার এনার্জি পাবেন। এতে ইমিউনিটিও বাড়বে। কিন্তু প্যাকেটজাত ডাবের জল খাওয়ার পর কোনও উপকারীই পাবেন না। ডাবের জলকে বোতলবন্দি করার আগে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যার মাধ্যমে ডাবের জলের আয়ু বৃদ্ধি করা তাজা ডাবের জল ছেড়ে বোতলবন্দি ডাবের জল খাচ্ছেন? মারাত্মক ভুল করছেনতি করে। দাম কম হোক বেশি, তাজা ডাবের জলই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।