ছেলেবেলা থেকেই আমরা শিখে এসেছি ‘আর্লি টু বেড, অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ়।’ সকালে ওঠার (Early Rising) উপকারিতা (Benefits) আমাদের কারোও অজানা নয়। বাড়ির বড়রা আমাদের সবসময়ই সকালে ওঠার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই জেনারেশনের একটা বাজে গুণ হল, সকালে তাড়াতাড়ি বিছানার মায়া ত্যাগ করে উঠতে পারেন না তাঁরা। কিন্তু সকালে ঘুম থকে ওঠার হাজার উপকার রয়েছে তা অনেকেই ভাল করে জানেন না। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে সকাল ৭ টার মধ্যে যাঁরা ঘুম থেকে ওঠেন তাঁদের জীবনে স্থুলতা, মানসিক চাপ (Stress), মানসিক অবসাদের (Depression) মতো একাধিক সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়। শুধু তাই নয় কাজের জায়গায় বেশি মনোযোগের সঙ্গে কাজ করতে পারেন তাঁরা। এছাড়াও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে, চিন্তা মুক্তি হয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার আরও বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। কী সেগুলি? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক…
বিশুদ্ধ বাতাস: ভোরের বাতাস তুলনামূলকভাবে বিশুদ্ধ। এই বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
মানসিক চাপ মুক্তি: আজকাল কর্মব্যস্ত জীবনে মানুষের চাপের শেষ নেই। চাপ কমাতে কী করবেন তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে নাকি মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কমে।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে: ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সকালে ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তি সারাদিন অন্যদের তুলনায় বেশি সক্রিয় থাকেন।
দীর্ঘ জীবন লাভ: ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলে আয়ু বাড়ে। যুক্তরাজ্যে ৮ লক্ষ ৩৩ হাজার মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তিদের চেয়ে দেরিতে ওঠা মানুষের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা ১০ শতাংশ বেশি।
পড়াশোনায় ভাল ফল: টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একটি গবেষণা করে দেখা যায়, সকালে ঘুম থেকে ওঠা শিক্ষার্থীরা অন্যদের তুলানায় ভাল ফল করে।
পজেটিভ এনার্জি: সকালে ঘুম থেকে উঠলে একটা পজেটিভ এনার্জি পাওয়া যায় যা সারাদিন কাজ করাতে শক্তি জোগায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: সকালে ঘুম থেকে উঠতে হলে স্বাভাবিকভাবেই তাড়াতাড়ি ঘুমোতে হয়। যেটি শরীরের জন্য ভীষণ ভাল। তাড়াতাড়ি ঘুমালে ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।