অনেক সময়ই কঠিন কোনও রোগ ভোগের পর বা হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন কমে ( Weight loss) গেলে অনেকেই চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। এমনকী সেই চুল ঝরা ( Hair fall) ৬ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বর্তমানে যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু এই একই সমস্যা হচ্ছে। কোভিড সারতেই রোজ মুঠো মুঠো চুল ঝরে ( Hair fall reason) পড়ছে। এছাড়াও মানসিক চাপ বাড়লেও কিন্তু চুল ঝরে যায় তাড়াতাড়ি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুল পড়ার মূল কারণ কিন্তু শরীরের গঠন এবং মানসিক চাপ। হঠাৎ করে হরমোমের পরিবর্তম হলে সেখান থেকেও আসে চুল পড়ে যাওয়ার মত এই সব সমস্যা।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি অনুসারে, প্রতিদিন ৫০-১০০ টা চুল পড়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু যখন সারাদিনে গড় চুল পড়ে যাওয়ার পরিমাণটা এর থেকতে বেশি হয় তখনই আসে নানা সমস্যা। আর এই সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় টেলোজেন এফ্লুভিয়াম। এই রোগ হলে তখন মাথা থেকে চুল ঝরার পরিমাণ বেড়ে যায় অনেকখানি। চুল পড়তে থাকলে অনেক সময়ই কিন্তু চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই ঘটনা স্থায়ী নয়। প্রয়োজন মত চিকিৎসা করালে কিন্তু এই সমস্যার হাত থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব। চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, বলছেন আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজির বিশেষজ্ঞরা।
চুল পড়ার কিন্তু অনেক কারণ রয়েছে। হঠাৎ করেই অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেললে সেখান থেকেও চুল ঝরে যাওয়ার মত সমস্যা আসে। এছাড়াও যাঁরা সদ্য মা হয়েছেন, কোনও অপারেশন হয়েছে বা সংক্রমণজনিত কোনও সমস্যায় ভুগেছেন তাঁরাও কিন্তু এই সমস্যার শিকার হতে পারেন। অ্যানাজেন এফ্লুভিয়াম তখনই কিন্তু বন্ধ হবে যখন চুল পড়ার সঠিক কারণ নির্ধারণ হবে। আর এই চুল পড়ার কারণের হদিশ পেলে এবং সেইমত চিকিৎসকা করালে তখন কিন্তু আর চুল গজানো নিয়ে কোনও রকম সমস্যা হয় না। তবে চুলে যদি সব সময় কোনও না কোনও শ্যাম্পু, রাসায়নিক ব্যবহার করেন, কোনও ওষুধ খান এবং চুলে একাধিক ট্রিটমেন্ট করান তাহলেও কিন্তু চুল ঝরতে বাধ্য।
চুল কেরাটিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি। তবে চুলের এই বৃদ্ধি, ঝরে যাওয়া কিন্তু চক্রাকারে চলতে থাকে। চুল বাড়তে থাকে অনেকদিন পর্যন্ত তা স্থায়ী হয় আবার একটা সময়ের পর কিন্তু চুল ঝরে যায়। আবার নতুন চুল গজায়। ব্যক্তিভেদে চুলের এই বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত হয়। কিছু জনের এক মাসে চুলের যে বৃদ্ধি থাকে অনেকের ক্ষেত্রে আবার তা এক বছরেও হয় না।
সাধারণ চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর সময় বা চুল ধোয়ার সময় চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে টেলোজেন এফ্লুভিয়ামের সমস্যা বলেই ধরে নেওয়া হয় । ঘরের সর্বত্র, বিশেষ করে বিছানায় এবং বালিশে সবচেয়ে বেশি চুল পড়ে থাকে। এই সমস্যা অনেক সময় নিজে থেকেই চলে যায়। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারলেই সবচাইতে ভাল।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।