
দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন কে না চায় বলুন তো! কিন্তু আজকাল প্রতি ঘরে ঘরে নানা রোগের ছড়াছড়ি। এমন সময় দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, ৫ অভ্যাসেই হবে ম্যাজিক! যে কেউ পাবেন সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন। যার মধ্যে অন্যতম জায়গা দখল করছে ধ্যান, ভাল ঘুমের মতো বেশ কিছু ভাল অভ্যাস।
চলুন জেনে এক এক করে জেনে নেওয়া যাক দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ জীবন পেতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের জানানো ৫ গোল্ডেন রুল।
অনেকেই কর্মব্যস্ত জীবনে পর্যাপ্ত ঘুমোন না। হার্ভার্ডের গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের রাতে সাধারণত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমনো উচিত। তাঁদের গবেষণা বলছে, ভাল ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখেস ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, দীর্ঘায়ুর সম্ভবনা বাড়ে।
হার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, ধ্যান এবং মনঃসংযোগ কাজে মনোযোগ বাড়ায়, মানসিক চাপ কমায়, যে কোনও মানুষকে বর্তমানের সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে পারে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ধ্যান ও মনঃসংযোগ।
অনেকের চোখ ব্যায়াম মানেই যেন কোনও সাজা! এমনটা না ভেবে রোজ ৩০ মিনিটের শরীরচর্চা ফুরফুরে শরীর দিতে পারে। হার্ভার্ডের গবেষকরা বলছেন, হাঁটাচলা করলেও হবে কাজ। তার জন্য বাড়তি খাটতেও হবে না। এই ধরুন হাঁটতে হাঁটতে কথা বললেন, লিফট ব্যবহারের জায়গায় সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করলেন। লম্বা কাজের মাঝে অল্প হাঁটলেই কাজ হবে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে দূষণ মানুষের দীর্ঘায়ু কমিয়ে দিচ্ছে। দূষণ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সহজ নয়, কিন্তু কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে ঝুঁকি খানিক কমে। যেমন- এয়ার পিউরিফায়ারের ব্যবহার, ফিল্টার করা জল খাওয়া, প্লাস্টিকের জায়গায় কাচ বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
হার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, এমন খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হতে হবে, যেখানে প্রাকৃতিক শস্য, গোটা শস্যের প্রাধান্য থাকবে। অর্থাৎ, ফলমূল, সবজি, ডাল ও বীজ জাতীয় খাবার খেতে হবে। একইসঙ্গে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারে লবণ ও চিনির মাত্রায় রাশ টানতে হবে। মিষ্টি বেশি খাওয়া চলবে না।