বর্ষার (Monsoon) দেখা মিললেও কমেনি গরম। ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। আর এই প্রচন্ড গরমে শরীরের দরকার এমন কিছু যা শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ঠান্ডাও রাখবে। আর এই ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করতে পারে বেল।
এখনও বহু বাড়িতেই গরম পড়লে বেলের পানা খাওয়ার চল রয়েছে। বেলের পানা আর কিছুই নয়, বেলের শরবত। এই পানীয় তৃপ্তির সঙ্গে পান করেন সক্কলে। তবে শুধু তৃপ্তিই নয়, শরীরকে ঠান্ডা ও সুস্থ রাখতে এর জুড়ি নেই। এর পাশাপাশি শরীরের একাধিক উপকারে লাগে বেল। আসুন জেনে নেওয়া যাক আর কী-কী উপকারে লাগে বেল এবং এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে…
বেলের পুষ্টিগুণ:
শক্তি- ১৩৯ ক্যালোরি
কার্বোহাইড্রেট- ৩৪ গ্রাম
প্রোটিন- ১.৮ গ্রাম
ফ্যাট- ০.৩ গ্রাম
ফাইবার- ২.৬ গ্রাম
ভিটামিন সি- ৮.৯ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ- ৫৫ মাইক্রোগ্রাম
ক্যালসিয়াম- ৮৫ মিলিগ্রাম
আয়রন- ১.০৮ মিলিগ্রাম
ফসফরাস- ১১৫ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম- ৬০০ মিলিগ্রাম
এবার দেখে নেওয়া যাক বেলের উপকারিতা:
হজমে সহায়তা করে:
ফাইবার সমৃদ্ধ বেল হজমে সাহায্য করে। যাঁরা আইবিএসের (IBS) সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য ভীষণ উপকারি বেল। অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে বেল। এই ফল খেলে সকালে ভাল পেট পরিষ্কার হয়।
সংক্রমণ রোধ করে:
মানুষের শরীরে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাবা বসায়। যার ফলে কলেরা, ডায়ারিয়ার মতো সমস্য়া দেখা দেয়। বেল এই ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে।
রোগভোগ দূরে রাখে:
দীর্ঘদিনের রোগ অর্থাৎ Chronic Disease থেকে মুক্তি দেয় বেল। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য বেল:
বেল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ ভাল। বেল খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। এছাড়াও এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভাল।
ডায়াবেটিস থাকলে বেল খাওয়া যায়?
ডায়াবেটিস থাকলে বেল খাওয়া যায় কি না এই নিয়ে বিস্তর মতবিরোধ রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কম গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স রয়েছে তাই বেল খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু অবশ্যই মেপে খান।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।