
ছেলেবেলা থেকেই আমরা পড়ে এসেছি গরমের ফল মানেই আম (Mango), জাম (Jamun), কাঁঠাল। সারাবছর এই সব লোভনীয় ফলের আশায় বসে থাকে মানুষ। আর গরম পড়তেই তাই এইসব ফলের স্বাদ চেটেপুটে নিতে চায় মানুষ। শুধু ফলের রাজা আমই নয়, পছন্দের তালিকায় বেশ উপরের দিকেই স্থান পায় জামও।
কালো জামের নাম শুনলেই সকলের মধ্যেই জেগে ওঠে সেই ছেলেবেলা। কালো জাম খেয়ে জিভ নীল করে কতই না খেলাধূলো ছিল বলুন তো। তবে ছেলেবেলার সেই প্রিয় ফল শরীরের জন্য যে এত উপকারি, তা জানতেন কি? হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। জামের উপকারিতার শেষ নেই। এই গরমের ফলে রয়েছে প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। এছাড়াও পুষ্টিগুণে ভরপুর জামে আরও রয়েছে, ভিটামিন সি, বি৬। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক এই জাম শরীরের কী-কী উপকারে লাগে।
হার্ট সুস্থ রাখে:
কালো জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা হার্টের জন্য ভীষণ উপকারি। হার্টের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি ধমনীর কার্যকারিতাকেও নিয়ন্ত্রণ করে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে:
কালো জামে রয়েছে ভিটামিন সি ও আয়রন। যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে ঠিক রাখে। শুধু তাই-ই নয়, রক্ত পরিশোধনেও সাহায্য করে এই ফল।
চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্য:
কালো জামে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারি। এছাড়াও জাম, চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও ভীষণ ভাল।
দাঁত সুরক্ষিত করে:
দাঁত ও মাড়ির জন্যও কালো জামের বিকল্প নেই। জাম পাতায় রয়েছে ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বৈশিষ্ট। যা মাড়ি সুরক্ষিত রাখে। অনেকেরঅ মাড়ি থেকে রক্তপাতের সমস্যা থাকে। কালো জাম এই সমস্যা মেটায়। এছাড়াও যেকোনও ধরনের মাড়ির সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে:
কালো জামে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। জামের বীজ, জাম গাছের ছাল ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
সংক্রমণ প্রতিরোধ করে:
কালো জামে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফেক্টিভ এবং অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া গুণ রয়েছে। শুধু তাই-ই নয়,এই ফলে ম্যালিক অ্যাসিড, ট্যানিন, গ্যালিক অ্যাসিড, অক্সালিক অ্যাসিড এবং বেটুলিক অ্যাসিড রয়েছে। যা শরীরকে যেকোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।