গ্রীষ্মকাল মানেই ফলের সম্ভার। আম, লিচু, জামের মতো ফলগুলোর দেখা মেলে এই মরশুমে। তবে, আর বেশিদিন বাকি নেই। এবার বাজারে ধীরে ধীরে এসব ফলের দেখাও কম মিলবে। তবে, গরমকাল বিদায় নেওয়ার আগেই আঁশ ফল খেয়ে দেখুন। গ্রাম বাংলা এই ফল লিচুকে টেক্কা দেয়। ছোট ছোট এই আঁশ ফল খুব বেশি মিষ্টি হয় না। আর শাঁসও কম থাকে। কিন্তু পুষ্টি মোটেও কম নয়। এই ফল স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। আয়ুর্বেদে দেহের একাধিক রোগকে দূরে রাখতে এই আঁশ ফল ব্যবহার করা হয়।
১) আঁশ ফলের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে। আঁশ ফলের শাঁস হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পাকস্থলির সমস্যায় আঁশ ফল খেলে উপকার মেলে। ফাইবার থাকায় আঁশ ফল খেতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।
২) শারীরিক দুর্বলতা কমাতে উপযোগী আঁশ ফল। এই ফলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা রয়েছে। তরলের পরিমাণও এই ফলের মধ্যে বেশি। আঁশ ফল খেলে ক্লান্তি দূর করতে পারবেন।
৩) নিয়মিত আঁশ ফল খেলে আপনি ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে পারেন। যে কোনও ধরনের অ্যালার্জি, ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে আঁশ ফল।
৪) বাচ্চাদের মধ্যে পেটের সমস্যা কমাতে সহায়ক আঁশ ফল। কৃমির সমস্যা, পেটের গণ্ডগোলে বাচ্চাকে আঁশ ফল খাওয়াতে পারেন।
৫) পুরুষদের মধ্যে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে উপযোগী আঁশ ফল। পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই গ্রাম্য ফল। নিয়মিত আঁশ ফল খেলে এড়াতে পারবেন শীঘ্রপতন।
৬) আঁশ ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই গ্রাম্য ফল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। আঁশ ফল খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।
৭) আঁশ ফলকে কাঠলিচুও বলা হয়। এই ফলের মধ্যে একদম ক্যালোরি নেই। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরাও খেতে পারেন এই আঁশ ফল। তাছাড়া আঁশ ফল খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। তাই এই মরশুমে আম, জাম, লিচু, জামরুলের সঙ্গে আঁশ ফলকেও খাদ্যতালিকায় রাখুন।