
বাঙালির রান্নাঘরে খুঁজলে পাওয়া যাবে তিল। নাড়ু থেকে শুরু করে পিঠে বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয় তিল (Sesame)। তিলের নাড়ু কমবেশি পছন্দ করেন সকলেই। কিন্তু এই তিলের গুণ জানেন? দেখতে ছোট্ট কিন্তু অনেক গুণ এই তিলের। সাধারণত তিল দুই প্রকার। কালো ও সাদা। সাদা তিলে রয়েছে একাধিক ভিটামিন (Vitamin) ও খনিজ উপাদান যা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ডায়াবেটিস (Diabetes) থেকে রক্তচাপ (Blood Pressure) সব নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে তিল। জেনে নিন শরীরের আর কোন কোন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে এই সাদা তিল।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
ডায়াবেটিস বা সুগার এখন ঘরে-ঘরে। এখন আর এই সমস্যা বয়সের তোয়াক্কা করে না। কম বয়সেই এই রোগের শিকার হচ্ছেন মানুষজন। এই সমস্যার মোকাবিলায় ওষুধের পাশাপাশি সাদা তিলে ভরসা রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত সাহায্য করে সাদা তিল। এতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
গাঁটের ব্যথার উপশম:
সাদা তিলে উপস্থিত জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড় মজবুত করে
অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা কমায়। এতে রয়েছে তামা। যা গাঁটের ব্যথা বা পেশির ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:
ডায়াবেটিসের মতো আরও একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্লাড প্রেশার। মানুষের মধ্যে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের হার। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে সাদা তিল।
হজমে সহায়তা:
ফাইবারযুক্ত সাদা তিল হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
মুখের স্বাস্থ্য়:
ওরাল হেলথের জন্যও উপকারী সাদা তিল। মুখের ভিতরে যেকোনও ধরনের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয় সাদা তিল। এছাড়া, দাঁত ব্যথা করলে হিং বা কালোজিরে পিষে নিয়ে তিলের তেল মিশিয়ে তা গরম করে কুলকুচো করলে আরাম পাওয়া যায়।
ক্ষত নিরাময়:
যেকোনও ধরনের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে তিল। ক্ষতস্থানে তিল বেটে লাগালে মিলবে উপশম।
রূপে লাবণ্যে:
রূপচর্চাতেও যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে তিলের। ত্বকে অবাঞ্ছিত দাগছোপ মিটিয়ে জেল্লা ফেরাতে সাহায্য করে তিল।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে এই তিল।
কানের ব্যথায় উপশম:
হিং, বিট নুন ও তিল গরম করে সেঁক দিলে কানের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এতে ব্যথায় সাময়িক আরাম মেলে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।