সুন্দর নখ শুধু সৌন্দর্যের অংশ নয়। নখ স্বাস্থ্য সম্পর্কেও অনেক কথা বলে। আপনি নখ যদি অল্প আঘাতেই ভেঙে যায়, নখ যদি হলেদেটে হয়, বুঝবেন আপনার দেহে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। নখ বাড়ানোর সত্ত্বেও বারবার ভেঙে যায়। নখ দুর্বল মানেই বুঝবেন দেহে পুষ্টির চাহিদা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কোন কোন পুষ্টির ঘাটতি থাকলে নখের সমস্যা দেখা দেয়, জানেন?
প্রোটিন: স্বাস্থ্যকর ও মজবুত নখ গঠনে প্রোটিন সাহায্য করে। নখ কেরাটিন নামের প্রোটিন দিয়ে গঠিত। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হলে নখ দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। নখের বৃদ্ধি ও শক্তির জন্য প্রয়োজনীয় বিল্ডিং ব্লক প্রদান করতে প্রোটিনের দরকার। তাই ডায়েটে মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য রাখুন।
বায়োটিন: নখের শক্তি ও ভঙ্গুরতা প্রতিরোধ করতে বায়োটিনের প্রয়োজন। এই পুষ্টি আপনি পেতে পারেন ডিম, বাদাম, আখরোট, স্যামন, অ্যাভোকাডো, মিষ্টি আলু এবং ফুলকপির মতো খাবার থেকে। এই পুষ্টি সুন্দর চুল গঠনেও সাহায্য করে।
আয়রন: দেহে আয়রনের ঘাটতি থাকলে নখ অল্পতেই ভেঙে যেতে পারে। আয়রন নখে অক্সিজেন সরবরাহ করতে এবং তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ফ্যাট ছাড়া মাংস, সামুদ্রিক খাবার, পালং শাক, মুসুর ডাল, কুমড়োর বীজ এবং বেদানা, সাইট্রাস ফল, স্ট্রবেরি, বেলপেপার ইত্যাদি রাখতে পারেন।
জিঙ্ক: এই খনিজ পদার্থটি নখের বৃদ্ধি ও মেরামতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি তৈরি হলে নখের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে এবং ভেঙে যেতে পারে। জিঙ্কের ঘাটতি দূর করতে ডায়েটে মাছ, মাংস, লেবু, বাদাম এবং বীজ রাখুন।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড নখের স্বাস্থ্যের উন্নতি সহ অসংখ্য স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে। এই পুষ্টিকে নখের নমনীয়তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি নখের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করতে সামুদ্রিক মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া বীজ, আখরোট ইত্যাদি খেতে পারেন।
ভিটামিন এ, সি ও ই: ভিটামিন এ, সি এবং ই হল শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি নখকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। ভিটামিন এ নখের প্রধান উপাদান কেরাটিন উৎপাদনে সাহায্য করে। ভিটামিন সি কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে, যা নখের শক্তির জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন ই নখকে ময়েশ্চারাইজড করে এবং পুষ্টি জোগায়। এই সব পুষ্টি পাওয়ার জন্য ডায়েটে গাজর, রাঙা আলু, সাইট্রাস ফল, বেলপেপার, বেরি, বাদাম এবং বীজ রাখুন।