
পিরিয়ডের (Period) ব্যথা বা ক্র্যাম্প নারীদের একটি পরিচিত সমস্যা। মাসের চার থেকে পাঁচ দিন এই অসহ্য ব্যথা ভোগ করতে হয় কমবেশি সব মহিলাকেই। মেয়েদের কাছে এই যন্ত্রণা দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম কিছু নয়। এই ব্যথার সেই অর্থে কোনও বিশেষ ওষুধ নেই। আর থাকলেও তার বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ফলে সেগুলি না খাওয়াই ভাল। তবে একটা সমাধান আছে। কিছু যোগাসন রয়েছে যা পিরিয়ডের ব্যথার (Period Cramp) জন্য ভীষণ উপকারি। এতে ঋতুস্রাব (Menstruation) চলাকালীন ব্যথা-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন দেখেনি পিরিয়ডের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে কোন যোগাসন গুলি করবেন এবং কীভাবে করবেন …
ধনুরাসন: এটি মূলত প্রজনন অঙ্গকে উদ্দীপিত করে। পিরিয়ডের ব্যথা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
কীভাবে করবেন?
প্রথমে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর দুই হাত দিয়ে পিছনের দিকে থাকা দু’পায়ের গোড়ালি ধরুন। মুখমন্ডল ও উরু তুলুন এবং শ্বাস নিন।
বালাসন: এই আসনটি মূলত শরীর ও মনকে পুনরুজ্জীবিত করে। পিরিয়ড চলাকালীন অনেক মহিলারই মুড সুইং হয়। ফলে এই আসন এই সময়ে ভীষণ জরুরি।
কীভাবে করবেন?
শিরদাঁড়া সোজা করে হাঁটু মুড়ে বসুন। এবার ধীরে ধীরে ঝুঁকে মাথা মাটিতে স্পর্শ করান। এবং হাত দুটি পিছনের দিকে মাটিতে রাখুন। খেয়াল রাখবেন হাতের তালু মেঝে স্পর্শ করবে কিন্তু বাহু মাটি স্পর্শ করবে না।
উত্তনাসন: এই যোগাসনটি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঋতুস্রাব হতে এবং পিরিয়ডের অসহ্য ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এছাড়াও হার্টের জন্যও এই আসনটি খুব উপকারি।
কীভাবে করবেন?
সোজা হয়ে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ান। খেয়াল রাখবেন দু’পায়ের মাঝে যাতে পর্যাপ্ত ফাঁক থাকে। এ বার কোমর থেকে শরীরের নীচের অংশ ঝোঁকান। তবে হাঁটু ভাঙলে চলবে না। এই ভাবে ১০-১৫ সেকেন্ড থাকুন।
মৎসাসন: এটি তলপেটের পেশিকে স্ট্রেচ করতে সাহায্য করে। এবং সেই সঙ্গেই পিরিয়ডের ব্যথা দূর করে। স্নায়ু সচল রাখার অন্যতম যোগব্যায়াম এটি।
কীভাবে করবেন?
প্রথমে পদ্মাসনে বসুন। এ বার ওইভাবেই শুয়ে পড়ুন। দু’হাত দিয়ে পায়ের পাতা স্পর্শ করুন। কোমর ও মাথার উপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে বুক ও পেটের অংশকে উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন।
বিপরীতাকরনী:
এই আসনটি পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে এবং রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি হজম শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এই আসনটি করার সময় যেহেতু তলপেটে চাপ পরে তাই এটি পিরিয়ড ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে।
কীভাবে করবেন?
প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে হাত দুটোকে পাঁজরের দু’পাশে রাখুন। এরপর শ্বাস নিয়ে দু’পা জোড়া করে যতদূর সম্ভব মাথা উপরের দিকে তুলুন। কনুই মেঝেতে রেখে হাত দিয়ে দেহের নিম্নাংশ উপরের দিকে তুলে ধরুন।