দু’ বছর পর স্বাভাবিক হয়ে জীবনযাপন। দীর্ঘদিন অনলাইনে ক্লাস করার পর পুনরায় শুরু হয়েছে স্কুল। এখন প্রতিদিন স্কুল যেতে হচ্ছে বাচ্চাদের। এতে যেমন আনন্দও রয়েছে তার সঙ্গে সমস্যা তৈরি করেছে এই গরম। এই গরমের মরসুমের প্রাপ্তবয়স্করাই যেখানে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন, সেখানে বাচ্চাদের (Kid Health) মধ্যেও কিছু সমস্যা যায়। বাচ্চাদের মধ্যেও হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন (Dehydration) এবং ত্বক সম্পর্কিত নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই অবস্থায় গ্রীষ্মের দাবদাহ (Summer Health) থেকে সন্তানকে রক্ষা করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু অভিভাবক হিসাবে আপনাকেই খেয়াল রাখতে হবে তার। এর জন্য কী-কী করবেন, দেখে নিন এক নজরে…
গরমের নানা সমস্যা থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা জরুরি। শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ তরল দিয়ে গঠিত। বাচ্চারা খেলার মধ্যে জল খেতে চায় না। আপনার সন্তান যদি তৃষ্ণার্ত বোধ না করে তা হলেও তাকে জোর করে জল পান করান। বাচ্চাদের ২-৩ লিটার জল পান করা জরুরি। জল ছাড়াও আপনার সন্তানকে ডাবের জল, লেবুর জল, বেলের সরবত খাওয়ান।
গরমে সব সময় স্বাস্থ্যকর এবং হালকা খাবার খাওয়ান। তরমুজ এবং লেটুসের মতো ফল গ্রীষ্মে আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পারে। তাই শিশুদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর ফল ও স্যালাদ অন্তর্ভুক্ত করুন। গরমে বেশি মশলাদার খাবার খাবেন না। বেশি মশলাদার খাবার খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
গরমে ত্বকের খেয়াল রাখাও জরুরি। দিনে দু’ বার করে স্নান করতে বলুন সন্তানকে। এতে শরীরের তাপমাত্রা সঠিক থাকে। এর পাশপাশি হালকা পোশাক পরানোর চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন হালকা রঙের জামাকাপড় ব্যবহার করার। এতে শরীরের ঠান্ডা থাকে। এই গরমে আপনার সন্তানকে প্রতিদিন সাঁতার কাটতে বলুন। এতে শরীরচর্চাও হয় এবং শরীর শীতলও থাকে।
চেষ্টা করুন বাড়ির ভিতরেই বেশিক্ষণ থাকার। তবে বিকালের পর আপনি বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ির বাইরে খেলতে নিয়ে যেতে পারেন। আর যদি বাইরে বের হন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ছাতা নিয়ে বাচ্চাদের বাইরে বের হতে যদি সমস্যা হয় তাহলে টুপি ব্যবহার করুন। এতে হিট ওয়েভ থেকে বাঁচতে পারবে আপনার সন্তান।
এত সতর্কতার পরও হিট ওয়েভের ঝুঁকি কোনও ভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। তাই বাচ্চাদের মধ্যে হিট ওয়েভের লক্ষণগুলি সম্পর্কে জানা জরুরি, যাতে সঠিক সময়ে আপনি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।
তাপতরঙ্গের প্রাথমিক লক্ষণ এবং লক্ষণগুলি জানা অপরিহার্য যাতে আপনি কোনও জটিলতা এড়াতে সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেন। অত্যধিক ঘেমে যাওয়া, পেশিতে ব্যথা, ক্লান্ত হয়ে পড়া, মাথার যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া, দুর্বলতা, মাথা ঘোরার মত উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুন: মদ্যপানে আসক্ত! ফ্যাটি লিভার কেড়ে নিতে পারে জীবনের সব সুখ, ঝুঁকি এড়াবেন কীভাবে?