সামান্য জ্বর (Fever) কিংবা মাথাব্যথাতেও (Headache and fever) অনেক সময় নষ্ট না করে বেশিরভাগেরই মানসিকতা থাকে ওষুধ খাওয়ার। এবং সেক্ষেত্রে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই নিজের সিদ্ধান্তে তড়িঘড়ি প্যারাসিটামল (Paracetamol) খান। প্রত্যেক ওষুধ যেমন নির্দিষ্ট ডোজ রয়েছে তেমনই কিন্তু পার্স্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। আর তাই হুড়োহুড়ি করে ওষুধ খাওয়া মোটেই শরীরের জন্য ভাল নয়। সামান্য জ্বর, সর্দি কিংবা মাথাব্যথা হলেই প্রথম আমাদের যে ওষুধটির কথা মাথায় আসে তা হল প্যারাসিটামল। কেন জ্বর, কোন কারণের জন্য জ্বর তা না জেনেই বেশিরভাগ এই ওষুধটি খেয়ে ফেলেন। আবার কিছু মানুষের অভ্যাস রয়েছে, অতিঅল্প কিছু হলেও অপেক্ষা না করে ওষুধ খাওয়া। মুঠো মুঠো প্যারাসিটামল খেলে কিন্তু হতে পারে ঘোর বিপদ! পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে দেখা যেতে পারে একাধিক সমস্যা। সম্প্রতি চিকিৎসক নিরঞ্জন সামানি, এবিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ মত প্রকাশ করেছেন। একান্ত এক আলাপচারিতায় তিনি এই ওষুধের ক্ষতিকর দিকগুলির বিষয়ে বেশ কিছু প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
ডাঃ সামানি জানান, নিয়মিত ভাবে প্যারাসিটামল খেলে কিন্তু রক্তচাপ বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর সেখান থেকে আসতে পারে হার্ট অ্যার্টাক, স্ট্রোকের ঝুঁকিও। এছাড়াও কোনও কারণ ছাড়াই এই ওষুধ খেলে বমি বমি ভাব, বমি, ত্বকের নানা সমস্যা হতে পারে। যখন প্রতিদিন এই ৪ গ্রামের প্যারাসিটামল খাচ্ছেন এতে কিন্তু হার্ট, কিডনির অনেক রকম সমস্যা আসে। এমনকী কিডনির ক্ষতি হয়। লিভার ঠিক করে কাজ করে না। কাজেই নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে প্যারাসিটামল খাবেন না। এছাড়াও এই এষুধ খাওয়ার পর যদি কোনও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তাহলে ১৬ ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। সব রোগের জন্য এবং সব রোগীর জন্য প্যারাসিটামল নয়। প্যারাসিটামল খেলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
আজকাল ওয়েদার পরিবর্তনের কারণে সারা বছর ধরেই কিন্তু জ্বর-সর্দির সমস্যা লেগে থাকে। জ্বর কোনও রোগ নয়, রোগের উপসর্গ মাত্র। আর তাই তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি না ছাড়ালে জ্বরের ওষুধ খাবেন না। বরং বেশি করে জল খান। জ্বর হলেও শরীরের ডিহাইড্রেশনের মত সমস্যা আসে। ফলে জল, স্যুপ, জুস এই জাতীয় খাবার বেশি করে। পুষ্টিকর খাবার খান। শরীরকে উপযুক্ত বিশ্রাম দিন। জ্বরের ওষুধ খেয়ে তাপমাত্রা একটু নামতেই যে কর্মক্ষেত্রে ছুটবেন, এমনটা কিন্তু না করাই শ্রেয়। যাঁদের কিডনির সমস্যা, ডায়াবিটিস বা অন্য কোনও সংক্রমণ জনিত সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কিন্তু কম। যে কারণে তাঁরা বেশি জ্বর-সর্দিতে ভোগেন। রোজকার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনে স্বাস্থ্যকর উপায়ে জীবন চালালে ইমিউনিটি সিস্টেমকে জোরদার করা যায়। তাহলেই ঘন ঘন জ্বরজারির ঝুঁকি কমবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: BMI And Covid Death: BMI যত বেশি, কোভিড জটিলতা ঠিক ততটাই বেশি! বলছে সমীক্ষা…