
ভারতকে ডায়াবেটিসে রাজধানী বললেও হবে না। এখন ঘরে ঘরে ডায়াবেটিসের রোগী। নেপথ্যে দায়ী অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল। আর যখন সুগার ধরা পড়েছে, জীবনধারায় বদল না এনেও কোনও উপায় নেই। এমনকি রোজ সুগারের ওষুধ খাওয়া ছাড়াও কোনও গতি নেই। তবে, ওষুধ ও স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি রোজ আমন্ড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। সুগারকে বশে রাখার জন্য অনেকেই ঘরোয়া টোটকার খোঁজ করেন। সেক্ষেত্রে আমন্ড খেলেই কমবে রক্তে শর্করার মাত্রা।
অন্যান্য বাদামের তুলনায় আমন্ড অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। বিশেষত, যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, রোজ আমন্ড খাওয়া দরকার। আমন্ডের মধ্যে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্য়কর ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এসব পুষ্টি ডায়াবেটিসের রোগীদেরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মূলত, আমন্ডের মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও আমন্ডের মধ্যে স্যাপোনিন, ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফেনোলিকের মতো উপাদান রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। এসব বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে, গ্লুকোজ ইউটিলাইজেশন উন্নত করতে এবং ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স কমাতে সাহায্য করে। এভাবেই আমন্ড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আমন্ডের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের অক্সিটেভিড স্ট্রেস কমায়। ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এতে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি হৃদরোগ ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি এড়ানো যায়। তাছাড়া আমন্ডে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় সহজেই হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস এক ধরনের ক্রনিক অসুখ আর এই অবস্থায় দেহে মারাত্মক প্রদাহ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে আমন্ড অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ হিসেবে কাজ করে এবং শারীরিক প্রদাহ কমায়।
দিনের যে কোনও সময় আপনি আমন্ড খেতে পারেন। খিদে পেলে স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন আমন্ড। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি খালি পেটে আমন্ড খান। চেষ্টা করুন, সকালে খালি পেটে ভেজানো আমন্ড খাওয়ার। ৬-৮টি আমন্ড আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন খোসা ছাড়িয়ে ওই ভেজানো আমন্ডগুলো খান। এতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তে শর্করার মাত্রা।