
ডায়াবেটিসের মতই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। রক্তচাপ বাড়লে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের সমস্যা আসবেই। উচ্চ রক্তচাপ কিছুক্ষেত্রে জিনগত। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই এই সব সমস্যা ডেকে আনছি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, প্রচুর তেল-মশলাদার খাবার খাওয়া, কম ঘুম, কাজের জায়গায় অতিরিক্ত চাপ, উচ্চাশাই ডেকে আনছে রক্তচাপের সমস্যা। মানুষকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করতেই প্রতি বছর ১৭ মে দিনটি বিশ্ব রক্তচাপ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। রক্তচাপের সমস্যা থাকলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসতে বাধ্য। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা এবং অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর তাই এই উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।
কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ঠিক আছে কিনা একটা বয়সের পর প্রত্যেক মানুষের তা পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত। কোলেস্টেরল বাড়লে রক্তচাপ বাড়বেঅ। কারণ ধমনীর দেওয়ালে তা জমতে থাকে এবং রক্তপ্রবাহে বাধা দেয়।
আর তাই কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলে প্রথম থেকেই সচেতন হতে হবে। কারণ কোলেস্টেরল বাড়লে হার্টের সমস্যা আসবে। সেই সঙ্গে কিডনি ফেলিওয়ের মত সম্ভাবনাও থেকে যায়।
রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেই হবে। অন্তত ৩০ মিনিট যে ভাবেই হোক কসরত করতে হবে। হাঁটতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন- মোটকথা যে ভাবে হোক ঘাম ঝরাতেই হবে। এর সঙ্গে ডায়েটও মেনে চলতে হবে। পলিআনস্যাচুরেটেড এবং মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রাখতে হবে রোজের ডায়েটে। এছাড়াও রিপোজ্ঞট নিয়ে অবশ্যই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। প্রয়োজন মতো ওষুধ শুরু করাও জরুরি।
কোলেস্টেরল বাড়লে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজের খাবারে ওটস রাখুন। ওটসের সঙ্গে আমন্ড মিল্ক বা সোয়া মিল্ক মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে খেতেও ভাল লাগবে আর শরীরের জন্য ভাল। এছাড়াও সোয়াবিনের বীজ, দুধ এসব খাওয়া খুব ভাল। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এরকম মাছ খান। আঙুর, স্ট্রবেরি, লেবু এসব ফলও খান নিয়ম করে।