
আমাদের খাবার পাতে ভাত, ডাল, সবজির তরকারি, মাছ-মাংস আছে কি না, সেটাই দেখি। কিন্তু দেখার বিষয় হল পুষ্টি। আপনার রোজের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি রয়েছে কি দেখা দরকার। সবচেয়ে জরুরি হল ফাইবার। আপনার রোজের পাতে যদি ফাইবার না থাকে, শরীরে সমস্যা বাড়বে। এই পুষ্টি হজম স্বাস্থ্যকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি কমায় ফাইবার। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ফাইবার জরুরি। সাধারণত দানাশস্য ও শাকসবজিতে সহজেই ফাইবার পাওয়া যায়। কিন্তু কোন ফল খেলেও ফাইবার মিলবে, জানেন?
পেয়ারা: উচ্চ ফাইবার, প্রোটিন ও ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ পেয়ারা। পেয়ারা খেলে পেট ভর্তি থাকে। এতে ওজন কমানো সহজ হয়। আর এই ফলের গ্লাইসেমিক সূচক কম। তাই পেয়ারা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আপেল: রোজ একটা করে আপেল খেলে কোনও রোগই আপনাকে ছুঁতে পারবে না। আপেলের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। হজম ক্ষমতা উন্নত করা থেকে শুরু করে শর্করার মাত্রা, কোলেস্টেরল কমানো এবং ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে আপেল। একটি মাঝারি সাইজের আপেলের ৪.৪ গ্রাম ফাইবার থাকে।
আম: দু’মাসই যখন আম পাওয়া যায়, মন ভরে খেয়ে নিন। এতে আপনিই উপকার পাবেন। ১০০ গ্রাম আমের মধ্যে ৬০ ক্যালোরি থাকে ঠিক। কিন্তু এই ফলে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এনজাইমও পাবেন যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ন্যাসপাতি: স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন ন্যাসপাতি। এই ফল ডায়েটরি ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। মাঝারি সাইজের ন্যাসপাতিতে ৬ গ্রাম ফাইবার থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, হজমে সহায়তা করে এবং দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে ন্যাসপাত।
কলা: পটাশিয়ামের পাশাপাশি কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। একটা কাঁঠালি কলায় ৩ গ্রাম ফাইবার পেয়ে যাবেন। কলা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কলার দ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এছাড়া দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে।